হৃদয়ের বাসনা আর মনের মাধূরী মিশিয়ে যখন কোন কাজ করা হয় সে কাজের ফল হয় সর্বদাই সুমিষ্ট। হৃদয়ের গভীর হতে উৎসারিত আনন্দগুলো প্রতি মুহূর্তে আলোর বিকিরণে বিচ্ছুরিত হতে হতে মনের মধ্যে বুলিয়ে দেয় গভীর প্রশান্তির প্রলেপ। কারণ মনের মধ্যে প্রশান্তি থাকলে মুখে তার উজ্জল রেখা ফুটে উঠবেই। মনের গভীরে থাকা নিরানন্দগুলোকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে অন্তরের মধ্যে জাগ্রত প্রশান্তির হাসিগুলো সিগ্ধতা বিকিয়েই চলে। তাইতো অবাঞ্চিত বাধাগুলোকে পাশ কাটিয়ে আন্তরিক প্রশান্তিতে থাকা দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রথম চেষ্টা হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।
সাপ্তাহিক প্রশান্তি একটি পত্রিকার নাম। এর মধ্যে যে সব প্রাণবন্ত লেখাগুলো প্রকাশিত হচ্ছে তার মূল বাণী যদি পাঠকবৃন্দ সত্যিকারভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে পারেন আর পত্রিকার সম্পাদক যদি মর্মবাণীগুলো উপযুক্ত প্রেক্ষাপটে তুলে ধরতে পারেন তাহলে আমার বিশ্বাস সচেতন ও বুদ্ধিমান পাঠককুল একটু একটু করে মনের মধ্যে প্রশান্তি অনুভব করতে পারবেন। কারণ প্রতিটি লেখার মধ্যে জীবন-ঘনিষ্ট কিছু উপাদান থাকে। সেগুলোকে যদি জীবনে ব্রত হিসেবে কাজে লাগানো যায় তাহলে জীবন হবে মধুময়।
একেক জন মানুষের স্বাদ, রূচি, পছন্দ, জীবন-মান একেক রকমের। কারও ঝোঁক জ্ঞান আহরণের দিকে আবার কারও বা বিতরণের দিকে। কেউ দান গ্রহণ করে আনন্দ পান আবার কেউবা বিতরণ করে। সকলের দৃষ্টিভঙ্গি এক নয়। একটি সমাজের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাইলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির, লক্ষ্যের এবং আকাঙ্খার পরিবর্তন দরকার।
আজ সাপ্তাহিক প্রশান্তি পত্রিকাটি ৩য় বর্ষপূর্তী উদযাপন করছে। এটি কেবলমাত্র একটি ক্ষণ বা দিবস। কিন্তু এই পত্রিকাটি বিগত বছরগুলোতে কি ধরণের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন সংশ্লিষ্ঠ প্রবন্ধ, গবেষণা, গৃহীত অঙ্গীকার সমূহ প্রকাশ করেছে সেগুলোই পত্রিকাটির সত্যিকারের মান যাচাই করবে।
আমি কায়মনবাক্যে বিশ্বাস করি যে, আমি যদি নিজে থেকে পরিবর্তিত হতে চাই তাহলেই কেবল পরিবর্তন হওয়া সম্ভব এবং একজন পরিবর্তিত মানুষই কেবল পারে একটি সমাজকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির দিকে পরিবর্তন করতে। আমি সাধুবাদ জানাই আমার বন্ধুবর তাজুল ইসলামকে তার এই সাহসী পদক্ষেপের জন্য। যে অঙ্গীকার নিয়ে আপনি এগিয়ে যাচ্ছেন তা সফল করতে সর্বদা প্রার্থনায় জাগ্রত থাকব আমরা।
“সাপ্তাহিক প্রশান্তি”, সকল পাঠক ও ভক্তকুলের মনে স্থান করে নিক এবং ছাপার সংখ্যা আরও ব্যাপ্তি লাভ করুক এই শুভ কামনা করছি। সকলকে মহান বিজয় দিবসের গভীর শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই।
মনোয়ার হোসেন পিন্টু
প্রশাসক, সিডিসি