একটি অযুহাতে জড়ানো কষ্ট

IMG_3439সাপ্তাহিক প্রশান্তির তয় বর্ষ পূর্তি ও ৪র্থ বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে পরিচিত বন্ধুমহলে বিজয় দিবস এবং বর্ষপূর্তী সংখ্যায় শুভেচ্ছা বানী এমনকি বিজ্ঞাপন আহবান করলে অনেকেই পিছুটান দিয়ে কোন রকমে নিজেকে বাঁচায়। বুঝতে আমার অসুবিধা হচ্ছিল এইজন্য যে, শুভেচ্ছাবানীতে তো কোন খরচ নেই বা কোন সমস্যা নেই। গত তিনটি বছর এই প্রশান্তি কারো কাছ থেকে কোন রকম সাহায্য এমনকি নিয়মিত পত্রিকার মুল্যওতো নেয়নি। অনেকে দিতে চেয়েছিল তাদেরটিও বিনয়ের সহিত ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। কারণ আমি আমার সরকারের গুনগান প্রকাশসহ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রচারে গুরুত্বারূপ করে যাচ্ছি নিজের কষ্টার্জিত অর্থে… যা সকলেরই পছন্দের।
কিন্তু এই পিছুটান ও উদাসিনতাকে আমি কিছু মনে না করলেও ভবিষ্যতের জন্য অনেক ভাবনার বিষয় এর পিছনে অর্ন্তনীহিত রয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ পরিবারের বন্ধুরা যারা অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন তাদের দায়বদ্ধতাটুকু দেখে মর্মাহত। আওয়ামী পরিবারের প্রতি মায়া-মমতাটুকু কি দলীয় সমৃদ্ধিতে এবং প্রচারণায় প্রকাশ করা উচিত নয়? আর তাই যদি হয় তাহলে আপনাদের সম্মুর্খে রয়েছে গভীর অন্ধকার। আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী দলীয় ভালবাসার কারণে হয়তোবা ঐ অন্ধকার সরানোর লক্ষ্যে আমরা মরনপন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। আর এই চালিয়ে যাওয়ার প্রেরণাই হলো ভালবাসা এবং দায়বদ্ধতা নি:স্বার্থভাবে আওয়ামী লীগের জন্য জীবন বিলিয়ে দেয়া। আর হচ্ছেও তাই।
তবে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, বিদেশী কোম্পানী এবং এর পরিচালক আমার প্রীয় বন্ধু; তিনি শুভেচ্ছা বানী ও বিজ্ঞাপন দিতে অপারগতা জানিয়েছেন আমি আওয়ামী লীগ এবং আমার পত্রিকায় আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারণা এমনকি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতিবাচক প্রচারণা প্রকাশের জন্য। তিনি আমেরীকান। তিনি চান না কোন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে বা কোন রাজনীতিকে উৎসাহিত করতে। ওনি ব্যবসা করতে এসেছেন এবং তাঁর দেশের জন্য কিছু একটা করতে চান। আমার দেশে আমার সরকারের সুবিধা ভোগ করে একটা শুভেচ্ছা বানী দেয়া থেকে আমাকে বিমুখ করল এটাই হচ্ছে দু;খ। প্রশান্তির অপরাধ কি ? প্রশান্তি আওয়ামী ঘরানার পত্রিকা। যদি তাই হয় তাহলে সবই আনন্দের সঙ্গে উদ্ধিপনার সহিত মেনে নিয়ে আরো প্রবল শক্তি এবং সাহসে আওয়ামী লীগের কর্মযজ্ঞ প্রকাশে মনোযোগী থাকব যদি এতে মরতেও হয় মরব। বলে রাখা ভাল বিগত দিনে ১মাস পনের দিন জেলও খেটেছিলাম দলীয় কাজে ঝাপিয়ে পড়ে। এই বর্ষপূর্তিতে শপথ নিলাম দলীয় মুখপত্র হিসেবে এই প্রশান্তিকে ব্যবহার করব আগামীর জন্য। আমার শরীরের শেষ বিন্দু রক্তটুকু দিয়ে এই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করে যাব। বিজয়ের মাসে আরেকটি বিজয়ের হাতছানিতে ২য় ও ৩য় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই আমার দৃপ্ত শপথ।
অর্থনৈতিক টানাপেড়নে যেন এর যাত্রা ব্যহত না হয় সেই শুভ কামনা ও দোয়ার আশাবাদ ব্যক্ত এবং প্রত্যাশা আমি করতেই পারি আপনাদের কাছে। আপনারা আমার পাশে দোয়ায় শামিল থাকবেন। যদি এতেও কৃপনতার ভাব আসে তাহলেও আমার কোন অনুযোগ বা আবদার থাকবে না বরং চালিয়ে যাব আপনাদের কল্যাণের তরে এই প্রশান্তির অব্যাহত যাত্রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.