অবৈধ সম্পত্তির বরপুত্র আসম আব্দুর রব

প্রশান্তি ডেক্স॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একসময়ে হাস্যরসাত্মকভাবে বলেছিলে, ‘অসময়ে নীরব, সুসময়ে সরব, তিনি হলেন আসম রব’। যদিও কথাটি হাস্যরসাত্মক ছিলো। কিন্তু কথাটি যে মোটেও মিথ্যা নয় তা হাড়েObydo sompotte হাড়ে টের পেলো বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আসম আব্দুর রব দেশের পক্ষে কাজ করলেও সেটি যে ছিলো শুধুই নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তা বুঝতে বাংলাদেশের মানুষের খুব বেশি সমস্যা হয়নি। এক সময়ে নিজের দল গঠন, অন্য সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লেজ ধরে ক্ষমতায় আসা। কিংবা ক্ষমতায় আসতে যুদ্ধাপরাধ সমর্থিত দলকে সমর্থন করা, সকল কিছুই করতেই রাজি আছেন আসম আব্দুর রব।
যার কারণে তার সম্পদও বেড়েছে পাহাড় সমান। শুধু ঢাকার উত্তরার কামারপাড়ায় আছে ২০ বিঘা জমির ওপরে একটি বাগান বাড়ি। যে বাড়িটি বানানো হয়েছে শুধু মাত্র তার মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে। এছাড়া বনানী, মিরপুর, ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় আসম আব্দুর রব ও স্ত্রী তানিয়া রবের নামে আছে সর্বমোট ১৮টি ফ্ল্যাট। আসম আব্দুর রবের নির্বাচনী আসন রামগতি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, এমপি থাকাকালীন সময়ে রব সাহেব হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এটা তো তেমন বড় কিছু নয়। ক্ষমতায় থাকলে সম্পদের পরিমাণ বাড়তে পারে। জনসাধারণ এতে মোটেও বিচলিত নয়।
এদিকে লোক মুখে জানা যায়, আসম আব্দুর রবের নির্বাচনী আসনে থানা, ডিসি, এসপি ও প্রশাসনে বিপুল অর্থ ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি। এ কারণে তিনি অন্তত ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন। লোক মুখে শোনা যায়, এমপি থাকাকালীন সময়ে প্রায় ১২’শ কোটি টাকার সম্পত্তি গড়ে তিনি সিঙ্গাপুর সিটি ব্যাংকে রেখে দিয়েছিলেন। নির্বাচন উপলক্ষে টাকা গুলো ফিরিয়ে আনছেন তিনি। উল্লেখ্য, আসম আব্দুর রবের এতো টাকা কোথা থেকে এলো, আর কিভাবে এলো, এ বিষয়ে তার সঙ্গে এ প্রতিবেদক একাধিকবার যোগাযোগ করতে ফোন দিলে আব্দুর রব এবং স্ত্রী তানিয়া রব ফোন ধরেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.