পিইসি ইবতেদায়িতে ৯৮ জেএসসিতে ৮৫ ও জেডিসিতে ৮৯ শতাংশ পাস

আনোয়ার হোসেন, প্রশান্তি প্রতিনিধি॥ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তনের একটি হল এই সদ্য প্রকাশিত ফলাফল অর্জনের পরীক্ষা। আমাদের সময় শুধু পঞ্চম শ্রেণীতে এই পরীক্ষা দেয়ার রীতি ছিল কিন্তু তৎপরবর্তী সময়ে এই রীতির ব্যতিক্রম ঘটান সার্টিফিকেট বিহীন সরকারগুলো। PSC ebtadaye
পরবর্তীতে এই শিক্ষায় একটি যুগান্তকারী প্রক্রিয়া চালু করে বর্তমান সরকার। আর এই পক্রিয়ায় আমাদের দেশের আগামীর ভবিষ্যত প্রজন্ম প্রস্তুত হচ্ছে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের লব্দ অর্জনে। এই পরিক্ষার প্রস্তুতি এবং পরিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে অর্জিত জ্ঞান আগামী এসএসসি ও এইচ, এস সি এবং তৎপরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক উপকারে আসে। সেই উপকারের ধারাবাহিকতা বর্তমানে গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং আনন্দ ও বিষাদ খুবই চমৎকার।
সেই আলোকেই আজকের ফলাফলে উৎফুল্ল ছেলে/মেয়েরা জানান দিচ্ছে আগামীর তরে। সদ্য প্রকাশিক ফলাফলে দেখা যায়-অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসিতে) পরীক্ষায় ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ৮৯ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। আর জেএসসি ও জেডিসি মিলে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর ইবতেদায়িতে এ হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। দুই পরীক্ষা মিলিয়ে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।
গত সোমবার সকালে শিক্ষাবোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ ফলাফল হস্তান্তর করেন। এ সময় সকল বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। গত ১ নভেম্বর শুরু হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় সারাদেশ থেকে ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৯ জন বা ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন।
গত বছর জেএসসি ও জেডিসিতে সম্মিলিতভাবে ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। এর মধ্যে ১ লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। সে হিসাবে এবার পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায় মোট ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গত ১৮ থেকে ২৬ নভেম্বর দেশজুড়ে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সঠিক সময়ে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের যে রীতি চালূ হয়েছে তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখলে আগামী দিনের বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং এর শৃঙ্খলা এমনকি শিক্ষার জট মুক্ত থেকে ছেলে/মেয়েদের শিক্ষা নিশ্চিত ও আগামীর পথচলায় গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। হতাশা এবং চাকুরীর বয়স নিয়ে জটিলতারও অবসান হবে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য এমনকি আরো গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য সৃজনশীল পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার আশা পোষণ করছি। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আর এক সঙ্গে রয়েছে আমাদের এই উদীয়মান শিক্ষা ব্যবস্থাও। জয় হউক সকলের এবং এগিয়ে যাক জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গঠনের প্রচেষ্টা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.