প্রশান্তি ডেক্স॥ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি সার্বজনীন মর্যাদা রয়েছে। এ বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ বা বিতর্কিত করতে পারে এমন বক্তব্য দেয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে। এরপর শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধিদলের প্রধান মো. আখতারুজ্জামান এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার স্বার্থে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী কোনে দলের বা পক্ষের নয়। সুতরাং এ নিয়ে কারো উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোন কারণ নেই।’ আক্তারুজ্জামান বলেন, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট্রের পক্ষ থেকে দেশপ্রেমিক পেশাদার ও সুশৃঙ্খল সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে সেটি খুবই আপত্তিজনক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত। সেনা মোতায়েনের মধ্যদিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ আরও উন্নত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত দ্বারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা, দলীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশে নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের ৫ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। আড়াইশ’র বেশি নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে। এসব হামলা-ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা শুধু আচরণবিধির লঙ্ঘন নয়, এটা ফৌজদারি অপরাধও। আক্তারুজ্জামান বলেন, আজ সকালে নোয়াখালীতে বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের কর্মীরা নিজেরাই নিজেদের গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরের সমর্থকদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এভাবেই তারা নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নসাৎ করার চেষ্টা করছে। এ সময় দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী এমপি, এডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, এডভোকেট কবির কাউসার, ড. মোহাম্মদ সেলিম, বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।