আনিছুল হকের জনগণপ্রীতি ও নির্বাচনী জনসভা

মাননীয় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রি একজন বিনয়ী, ভদ্র, অমায়িক আচরণে আড়ষ্ট ব্যক্তি। তিনি শিকড়ের টানে এলাকার প্রতিটি গ্রামে চষে বেড়াচ্ছেন এবং বিনয়ীভাবে ভোট ভিক্ষা চাইছেন। এই ভদ্র মানুষটির প্রতি এমনিতেই এলাকার মানুষের ভালবাসা প্রস্ফুটিত। এই মানুষটিকে সবাই ভালবাসে এবং আত্মার আত্মীয়ের টানের, সন্তানের, বন্ধুর, অভিবাভকের টানে বুকে জড়িয়ে নেই। তিনিও কম নন, তিনি তাঁর এলাকাকে (নির্বাচনী এলাকাকে) এতই আপন করেছেন যে, এমন কোন জায়গা নেই যেখানে তার উন্নয়ন চোখে পড়েনি; তিনি মেধাভিত্তিক রাজনীতি চর্চা থেকে শুরু করে, শতভাগ বিদ্যুৎ, চাকুরী, শিক্ষা, রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজের উন্নয়ন, সরকারীকরণ, হাসপাতাল, বিভিন্ন ভবন, মসজিদ – মাদরাসার উন্নয়ন, ব্যক্তিগত অনুদান, থানা ভবন, ব্রিজ-কালভার্ট, বর্ডার হাট, আন্তনগর ট্রেন এর যাত্রাবিরতী, মাদক/ সন্ত্রাস ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি, দল-মত নির্বিশেষে সকল মানুষকে আপন করে নেয়া এবং যোগ্য অভিভাবকত্ত প্রকাশ করা দৃশ্যমান রেখেছেন। Tajul
এই সকল দিক বিবেচনায় নিয়ে এলাকার মানুষ এখন সুযোগ পেয়েছে তাঁর ঋণ শোধ করার। কিন্তু তিনি জানেন এবং দেখতেও পান আর আমাদের মত শত শত অনুসন্ধানী চোখ এর জরিপ অনুযায়ী বলা যায় বাংলাদেশে যদি একটি সিটও আওয়ামী লীগ পায় এবং বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় সেটি হবে কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনটি। আর এই নিশ্চয়তাটুকু আসে আনিছুল হকের নি:শর্ত ভালবাসার বন্দনের কারণে; শেখ হাসিনার উন্নয়নের সমবন্টনের কারণে; রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের কারণে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিটি উপহারই তিনি বিশ্বস্তভাবে তুলে দিয়েছেন জনগণের হাতে। গ্রাম এবং শহরের দূরত্ব কমিয়ে এনে এখন গ্রামকে শহরে পরিণত করেছেন যার সুফল ভোগী মানুষ এখন প্রতিদান দিতে ব্যস্ত। প্রতিটি নির্বাচনী জনসভা, পথসভা ঘুরে এবং ব্যক্তিগত জরিপে এই প্রমানীত হয় যে, জনাব হক সাহেব কসবা-আখাউড়া বাসীর কাছে ভোট চাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই; জনগণই ভোট দিতে অধির আগ্রহে অপেক্ষরত, শুধু তাই নয় বরং নির্বাচনী বিজয় উপহার দিয়ে আগামীর উন্নয়নে শরীক থেকে স্ব স্ব ভুমিকা পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমি সচিবালয়ে আপনাকে সালাম করে বলে এসেছিলাম যে, জয়ের মালা নিয়ে এসে এই সচিবালয়ে কোলাকোলি করব। কিন্তু এখন প্রতিদিনই আপনার সঙ্গে দেখা হয়; কথা যদিও হয়না তবে আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনি। আমিও এলাকার সন্তান এবং জনগণের একজন হয়ে বলছি ভাই আপনি ভোট ভিক্ষা চেয়ে আমাদেরকে ছোট করবেন না। আমরা আপনার আর আপনি আমাদের। ভোট আপনার অধিকার এবং দাবি। আর এই অধিকার এবং দাবি পুরণে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের ইচ্ছা ও আকাঙ্খা আপনাকে দেখা ও স্পর্শ পাওয়া আপনার ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ কাজে লাগিয়ে আপনার আরো কাছে এবং নি:শর্ত ভালবাসার বন্ধনের গভীরতা আরো সমৃদ্ধ করা। সূদূর আগামীতে আপনাকে বিনা মেঘে বৃষ্টি উপহার দেয়ার দৃষ্টান্ত ও নিশ্চয়তা দৃশ্যমান করা।
ভাই আপনি কাজ করুন দেশের জন্য। কসবা – আখাউড়ায় প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন আনিছুল হক সৃষ্টি হয়েছে, প্রতিটি মানুষ এখন নিজেকে একজন সফল মন্ত্রী ভাবতে এবং উপভোগ করতে পারছে। আর এই সুযোগটি একমাত্র আপনিই দিয়েছেন। তাই আপনাকে শতকোটি সালাম। আমি যখন সচিবালয়ে যায় তখন মনে হয় ঐ মন্ত্রনালয়টি আমার এবং একান্ডই আমার। তাই প্রতিটি যাত্রায়ই আপনার দরজা খুলে একনজর দেখে আসি আর সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে আসি। এটাই শান্তি। এটাই বড় পাওয়া। অনেক মন্ত্রী এমনকি সচিবও আমার বন্ধু আছেন এবং আমি সেখানেও যাই কিন্তু সেখানে এই আমার এবং আত্মার শান্তি পাওয়া যায় না। তাই বলছি ভোট ভিক্ষা চেয়ে আমাদেরকে ছোট করবেন না। কারণ আমরা আপনার। যদিও ভোট ভিক্ষা চাওয়াটা আপনার বিনয়ী এবং ভদ্র স্বভাবের ফসল; কিন্তু আমরা এইটা দেখতে ও শুনতে চাই না। দল-মত নির্বিশেষে রেকর্ড সৃষ্টি করে আপনাকে পুনরায় নির্বাচিত করে বিজয়ের মালা পড়াব এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি মডেল দৃষ্টান্ত উপহার দিব। এই নির্বাচনে আরো একটি ক্ষোভ ও দু:খ ঘুচবে আমার। যা জনাব মরহুম সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়া সাহেবের জীবদ্ধশায় পারিনি কিন্তু তাঁরই উত্তরসূরীর মাধ্যমে আজ পেরেছি। সেই নির্বাচনে হারের দু:খ আজ ভুলার এবং প্রতিশোধ নেয়ার সময় এসেছে আপনার মাধ্যমে। তাই আপনাকে সালাম। আমার আশা পূর্ণ হয়েছে। আমার আর কোন চাওয়া -পাওয়া এমনকি দু:খও নেই।
একজন ভাল ও সরলমনা জনবান্ধব মানুয়ের পরিচায়ক আপনি নিজে। যেখানে আপনার বিজয় নিশ্চিত এবং বিরোধী পক্ষ নির্বাচনী মাঠে অযোগ্য হিসেবে ভোটযুদ্ধের বাইরে। সেখানে আপনিই একমাত্র প্রার্থী; তাই ভোটারের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার কোন প্রয়োজন আপনার ছিল না। কিন্তু আপনি আপনার আপনজন ভোটারের কাছে বেশী বেশী করে যাচ্ছেন এবং ভোট ভিক্ষা চেয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। রাষ্ট্রের মালিক এবং ভোটের মালিক জনগণকে সম্মান ও শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা দিতে আপনি কার্পন্য করছেননা বরং শত ব্যস্ততার মাঝেও জনগণের দ্বারে দ্বারে আপনি স্বয়ং নিজে। ড. কামালের মিথ্যা বুলিকে আপনি বাস্তবে সত্যে প্রমান করেছেন। আসলেই জনগণ ভোট এবং রাষ্ট্রের মালিক যা আপনার মাধ্যমে একটি শিক্ষনীয় উদাহরণও হয়ে থাকলো আগামীর জন্য।
আরেকটি বিষয় লক্ষনীয় যে, আপনার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর নেতা ও কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, পাশাপাশি ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমীকলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনগুলো একযোগ সুচারুরূপে কাজ করে যাচ্ছে। কেউ কারো নাহি ছাড়ে সমানে সমান। কর্মী ও সমর্থক এবং মহাজোটের অন্য শরীকরাও কাজে করে যাচ্ছেন সমান তালে। তাই এখন কসবা ও আখাউড়ায় শুধু আপনার আপনজন এবং শুভাকাংখী ও দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ছাড়া অন্য কেউ নেই। তবে দুস্কৃতিকারীরা ছিল এবং আছে ও থাকবে। তারা আছে গা ঢাকা দিয়ে। তাদের পুর্নবাসনে যেন আমাদের বৃহৎ ঐক্য আর অনুঘঠকের ভূমিকায় না থাকে আপনাকে সেইদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। জিরো টলারেন্স নীতি নির্বাচনী মাঠে অব্যাহত রেখে নির্বিঘ্নে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে। কোনরকম ছাড় দেয়া এমনকি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ দেয়া যাবে না। জয় আমাদের অবধারিত এবং ফসল ঘরে তোলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষারত রইলাম। দেখা হবে ভোট কেন্দ্রে এবং কথা হবে বাড়িতে ও সচিবালয়ে। জয় বাংলা; জয় বঙ্গবন্ধু।

Leave a Reply

Your email address will not be published.