সফলতার পিছনে ছুটার প্রয়োজনীয়তা ছিলনা বললেই চলে। কিন্তু প্রয়োজীয়তা বিহীন ছুটাছুটিই আমাদেরকে নির্বাচনের আমেজ উৎফুল্ল বিজয় উপভোগ করতে সহায়তা করে। প্রথমত গত ১০ বছরের উন্নয়ন এবং দলীয় ঐক্যের সমন্বয়ে এই বিজয় অর্জিত হয়। বিশেষ করে নেতা-কর্মী ও সমর্থক এবং নির্বিকার সাধারণ জনগন তাদের প্রতিদান দিয়ে আগামীর দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিতে এই বিজল্লোস দৃশ্যমান হয়েছে। বৈশ্বিক শ্রোতধারা এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এই বিজয় কাংখিত। বিশেষ করে ঐক্যের ঘোজামিলের রাজনীতি এবং পর্দার আড়ালের প্রচ্ছন্ন হুমকি দৃশ্যমান হওয়া, মনোনয়ন বাণিজ্য, জামাতীদের ঐক্যে সন্নেবেশিত করা, মনোনয়নে ভূল সিদ্ধান্ত, দলীয় প্রধানদের বিচারিক দন্ড ও পলাতক থাকা, ভবিষ্যত নেতা হিসেবে জুলন্ত সিদ্ধান্ত, তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব সব মিলিয়েই একটি হযবরল অবস্থায় আওয়ামী কৌশলের জয় হয়েছে।
মানুষ চেয়েছিল একটি অংশগ্রহণমূলক শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। জনগনের প্রত্যাশা ছিল চলমান উন্নয়ন এর ধারাবাহিকতা, বর্তমানের স্থিতিশীল অবস্থার ক্রমোন্নতির নিশ্চয়তা; নতুন দিগন্তের পালে হাওয়া লাগাতে তারুণ্যকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ ও নতুন পুরানের সমন্বয়ের দৃশ্যমান কাজ। অপশক্তির শিকল ছিড়ে ৭১এর চেতনায় এবং পরিকল্পনায় এগিয়ে যেতে। সেই প্রত্যাশায় যোগ হয়েছে নতুনের কেতন উড়ানো হাওয়া। সেই হাওয়ায় দোলে আজকের বিজয়। এই বিজয় এদেশের শান্তিকামী মানুষের বিজয়। ঢাকা থেকে নওগা, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, দোহার-নবাবগঞ্জ ঘুরার সুযোগ হয়েছে এই নির্বাচনী উত্তাপের তাপ নিতে। যেখানেই গিয়েছি সেখানেই এর সার্বজনীনতা চোখে পড়েছে। মানুষ এই নির্বাচনকে আর্শিবাদ এবং অভিষাপ এই দুইয়ে চিহ্নিত করেছে। আর সকলেই আশির্বাদের পাল্লা ভারি করে জয়োল্লাসে মেতেছে।
বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় যারা নৌকার সমর্থক নয় অথচ নৌকায় ভোট দিয়েছেন; কারন জানতে চাইলে বলে নৌকাকে ভোট দেই না, ভোট দিয়েছি ব্যক্তিকে এবং সেই ব্যক্তিটি হল এডভোকেট আনিছুল হক। তিনি যে অবদান রেখেছেন এই এলাকার জন্য সেই অবদানের ঋণ শোধের ক্ষুদ্র প্রয়াস আমার এ্ই ভোটটি। এইভাবে লাইনে দাঁড়ানো হাজারো মানষকে প্রশ্ন করলে এই একই উত্তর আসে। এই সৎ মানুষটির দর্শন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও বলেছে ভোট দিয়েছি শেখ হাসিনাকে। তিনি আমাদেরকে দিশা দিয়েছেন, ঘর দিয়েছেন, সম্মান দিয়েছেন, বেঁচে থাকার অবলম্বন দিয়েছেন, কি তিনি দেননি; সবই দিয়েছেন এবং আগামীতে আরো দিবেন তাই আমার কোন দল নেই দল, দর্শন, মত, ও পথ এবং অবলম্বন আগামীর জন্য একটিই আর সেটি হলো শেখ হাসিনা। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন আল্লাহ যেন দেশের মানুষের সেবার কাজে তাকে নিয়োজিত রাখেন। এই হলো দল মত ও পথের উদ্ধে উঠে এইবারের বিজয়।
কেউ কেউ এটাকে আশির্বাদের বিজয় বলে অভিহিত করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন আমি ভোট দিইনি কিন্তু সহযোগিতা করেছি কোনরকম প্রতিবন্ধিকতা সৃষ্টি না করে। অভিষাপের পক্ষে না গিয়ে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত না করে। এই বিজয় সম্মিলিত বিজয়। সামগ্রিক ঐক্যের বিজয়। এই বিজয় থেকে কাউকে বাদ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এই বিজয় হলো একটি সম্মিলিত মহাপরিকল্পনার সু-উচ্চ শিখরের বিজয়। যাতে কেউ বাদ যায়নি। সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, রাষ্ট্রিয় বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ, সমাজের উচু-নিচু এবং মাঝারি স্তরের ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, ডাক্তার, কামার, কুলি, মজুর সবাই এক্যবদ্ধভাবে এই বিজয় ছিনিয়ে এনেছে শেখ হাসিনার জন্য। তাই এই বিজয়কে সুনিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে বাস্তবায়নে যতœশীল ও মনযোগী হয়ে এগিয়ে নিতে হবে আগামীর তরে।
নির্বাচন কমিশন সফল-বিফল তার বিচার ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। তবে তারা এই একটি সুষ্ট নির্বাচন করতে সক্ষন হয়েছেন এবং এই কারণে তাদের প্রশংসা পাওয়া উচিত। এই নির্বাচনে যে ক্রুটিগুলি চোখে পড়ার মত সেগুলোকে চিহ্নিত করে আগামী দিনে আরো সতর্কদৃষ্টি দিয়ে স্বতস্ফুর্তভাবে কার্য সম্পাদন করে সমালোচনা উদ্ধে উঠে দৃষ্টান্ত স্থাপনে মনযোগী হউন। ন¤্রতা এবং বিনয়ী মনোভাব আপনাদেরকে এই সফল নির্বাচনের সম্মান এনে দিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকেও দিয়েছে বিশাল এক অপ্রত্যাশিত বিজয়। যেমন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চেয়েছিল এ রেজাল্ট বা ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে কিন্তু জনগণ এ+ (গোল্ডোন জিপিএ) দিয়ে চমক দেখিয়েছে এবং আগামীর জন্য আরো দায়িত্বশীল ও যতœবান হয়ে বিনয়ী ও মার্জিত মেজাজে জনসম্পৃক্ত কাজ করতে সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। সদ্য পাস হওয়া সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে এবং নতুন মন্ত্রীসভাও গঠিত হবে। রাষ্ট্র পরিচালনায় বর্তমান সরকার তাদের চলমান ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে জনআকাঙ্খা পূরণে এগিয়ে যাবে এটাই এখন আমাদের কামনা। সফল একটি জার্নির পরিসমাপ্তিতে আগামীর সমুজ্জ্বল বাংলাদেশ কামনা করে নতুন কোন লিখার প্রত্যাশায় আজকের মত বিদায়।