সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনকে একটি ইতিবাচক রাজনীতির চর্চার ফসল বলা যায়। একটি অংশগ্রহনমূলক আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়ে যাওয়া নির্বাচন থেকে শিক্ষা নেয়ার দৃষ্টান্ত বহমান রয়েছে। তবে বাংলাদেশকে নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে রাজনীতি এবং গণতন্ত্র শিখাতে আসা রাষ্ট্র এবং এর কর্তাগণ এখন নতজানু। গনতন্ত্রের সবক শিখানো সুযোগ বিলুপ্ত হয়েছে এই একাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। দেশীয় রাজনৈতিক দল এবং জোটগত ঐক্যসহ সকল দলের সমন্বয়েই এই রাজনৈতিক বিজয় অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের মাধ্যমে। এখন এই দেশের মানুষের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ ছাড়া আর কোন গত্যন্তর নেই বিশ্বরাজ মোড়লদের। তবে আমাদের দেশের এবং রাজনৈতিক দলের ও সরকারের কাছ থেকে অনেক শিক্ষাই এখন পাঠ্যপুস্তকাকারে পাঠদান করা বহিবিশ্বে জরুরী হয়ে পড়েছে।
নির্বাচন শেষে সবাই গ্রহণযোগ্য এবং সময়োপযুক্ত হয়েছে বলে দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে। কিছু কিছু দেশ এই বিবৃতি না দিয়ে উপায় নেই ভেবে গাছাড়া ভাব নিয়ে একটি ইতিবাচক বিবৃতি প্রদান করেছে এবং আকা্খংা পোষণ করেছে এই সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার। অনেকে আবার সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে যাতে করে একসঙ্গে জোড়ালোভাবে কাজ করতে পারে। সব মিলিয়ে যেন এক ঐক্য সুচিত হয়েছে এই বিজয়ের মাধ্যমে। বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিশেষ করে ঐক্যফ্রন্টের বিএনপি এই নির্বাচনী ফল মেনে নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। পুনরায় নির্বাচন দেয়ার দাবিও জানিয়েছে। এই সবই সাময়িক লজ্জ্বা কাটিয়ে উঠার একটি উপায় মাত্র। কারণ কাংখিত এই নির্বাচন ছিল কৌশলের এবং উন্নয়নের ও অগ্রগামীতার। কিন্তু সেই কৌশলের কাছেই বিএনটি আজ পরাজিত ও পরাভূত। তবে মেধাহীনতার জন্য দেশবাসী তথা, সরকার, কমিশন এমনকি সময়কে দোষারোপ করা একটি বোকামী ছাড়া আর কি। তবে এই পরাজয় মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে এবং রাজনীতির কৌশলে আরো পারদর্শী হয়ে কাজ করলে জনগণ আগামীতে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিতেও পারে।
একটি বিষয় স্পষ্ট যে, নির্বাচনের পরাজয় মেনে নিয়ে বিশৃঙ্খলা থেকে বের হয়ে ইতিবাচক মনোভাবের পক্ষে এসে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এবার নজির সৃষ্টি করেছে বাংলার মানুষ এবং দলগুলো। আগামীতে আমাদের দেশের গনতন্ত্রকামী মানুষগুলো গণতন্ত্রের ভীত আরো মজবুত করে বলে আমার বিশ্বাস। ক্ষমতার লোভে মানুষ নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ভিবিষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে তা ছিল অতিতের কাজ ও ঘুণেধরা ভাবনা। আর বর্তমানের বিলুপ্তী টেনে নতুনের কেতন উড়িয়ে ইতিবাচক কাজ ও মনোভাবের এক উজ্জ্বল চলমান দৃষ্টান্তও বটে। মানুষ যে শৃঙ্খলা এবং ঐক্যবদ্যতা দেখিয়েছে তা বিরল এবং আগামীর জন্য দৃষ্টান্ত। সরকার এবং প্রসাশন ও নির্বাচন কমিশন একযোগে মিশেগেছে জনগণের মনোভাবের সঙ্গে। চিন্তা ও কাজের সমন্বয় ঘটিয়ে এগিয়ে গেছে কঠিনকে মোকাবেলা করে সহজে পরিণত করার প্রয়াসে।
বিশ্বের দরবারে দেখিয়েছে যে, কিভাবে নির্বাচন করা যায় এবং কিভাবে নির্বাচনী খেলার মাঠে পাকা খেলোয়ার হিসেবে খোলোয়ারীত্ব প্রকাশ করে কখনো ফাকা গোলপোষ্টে আবার কখনো জটলা পাকানোবস্থায় গোল দেয়া যায় এবং দিয়ে দেখিয়েছে এবার।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই নির্বাচনটি একটি গুরুত্ববহ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। নির্বাচনের আড়ালে মানুষের জীবন নাশ এবং উন্নয়ন বিনাশ করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার চক্রান্ত বহমান ছিল এবং সেই চক্রান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মানুষ শান্তি, স্থিতিশীলতা, নিশ্চয়তা, ধারাবাহিকতার পক্ষে রায় দিয়েছে। এই রায়ের ফলে এখন শান্তিময় পরিবেশ ও স্থিতিশীলতা বিরাজমান রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিপক্কতা পরিলক্ষিত হয়েছে এই নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে। আইন প্রয়োগের পরিপক্কতাও লক্ষণীয় ছিল। সর্ববিষয়েই জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ীত হয়েছে এই নির্বাচনকে ঘীরে। লোকমুখে শুনা কথন এর যথোপযুক্ততার প্রমান পাওয়া যায়নি। এখনও যারা বিভিন্নভাবে নেতিবাচক প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে বলি আর নয় নেতিবাচকতা; আর নয় মিথ্যা আসুন আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনে মনোনিবেশ করি।
টালবাহানা নাকরে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ না করে নিজস্ব প্রচেষ্টায় সামনের দিকে এগিয়ে যায় তাইলে আমাদের কাংখিত স্বপ্ন পূরন হবে এবং বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে শেখ হাসিনার সফলতায় এগিয়ে যাব। বছরের প্রথম দিনে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বই পৌঁছানোর যে কৃতীত্ব তা ধরে রাখার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। নতুন করে নতুন পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। নির্বাচন পূর্ব এবং পর যে সকল অনাকাংখিত ঘটনার জন্ম হয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখে আগামীর জন্য দৃষ্টান্ত স্বরূপ বিচার করতে হবে। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে হবে যে, বাংলার জনগনের সুখ ও দু:খের সারথী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বার্তমান সরকার রয়েছে। সকল বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে দেশবাসী আশ্বস্ত করতে হবে; আইনের উদ্ধে কেউ নন বরং আইনের প্যাচেই সকলে এবং এই দ্বারাই সুরক্ষিত আমি, আমরা, ও আপনি,তুমি। তাই বলতে পারি মানুষের অনুযোগ শুনুন এবং মানুষকে দায়মুক্তি দিন। সকলের সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনায় ষড়যন্ত্রের জালে ইতিবাচক নড়ির দীর্ঘায়ীত হউক আমাদের সকলের তরে।