ইলিশের জীবনরহস্য উন্মোচন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ

আনোয়ার হোসেন॥ জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর এবার ইলিশের জীবনরহস্য উন্মোচনে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের একদল গবেষক ইলিশের জিন বিন্যাস বা জিনোম সিকোয়েন্স শনাক্ত করেন। তাদের এ সাফল্য লন্ডন ভিত্তিক বিশ্বখ্যাত জার্নাল বায়োমেড সেন্ট্রাল (বিএমসি) প্রকাশ করেছে। ইলিশের জিনতত্ত্বের ওপর কাজ করা বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিএমসিতে Elishar Jebon rohossoবাংলাদেশের গবেষণাটি সবার আগে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। এর আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
জিন বিন্যাস শনাক্তের মাধ্যমে ইলিশ কীভাবে সমুদ্রের নোনা বা স্বাদু পানিতে বসবাস করে, ইলিশের রোগবালাই কী, ইলিশ বদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা সম্ভব কি না, একেক এলাকায় কেন ইলিশের স্বাদ ভিন্ন, স্বাদ অটুট রেখে ইলিশ চাষ করা যাবে কি না – এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া পথ তৈরি হয়েছে। ইলিশের জিনোম বিশ্লেষণ করে গবেষকরা ৭৬ লাখ ৮০ হাজার নিউক্লিওটাইড পেয়েছেন; যা মানুষের জিনোমের প্রায় এক চতুর্থাংশ।
এছাড়া ইলিশের জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে ২১ হাজার ৩২৫টি মাইক্রোস্যাটেলাইট (সিম্পল সিকোয়েন্স রিপিট সংক্ষেপে এসএসআর ) ও ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০০টি সিঙ্গেল নিউক্লিওটাইড পলিমরফিজম (এসএনপি) পাওয়া গেছে। ‘জিনোম’ হচ্ছে কোনো জীব প্রজাতির সকল বৈশিষ্ট্যের নিয়ন্ত্রক। অন্য কথায় জিনোম হচ্ছে, কোনো জীবের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। জীবের অঙ্গসংস্থান, জন্ম, বৃদ্ধি, প্রজনন এবং পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াসহ সকল জৈবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় এর জিনোমে সংরক্ষিত নির্দেশনা দ্বারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.