সর্বপ্রথমে আল্লাকে শুকরিয়া জানাই যে, আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করল এবং প্রধানমন্ত্রী চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করল আজ নতুন চমকপ্রদ মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে। সাধুবাদ জানাই আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবং নব্য শপথ নেয়া মন্ত্রীবর্গকে।
নতুন সরকারকে শুভেচ্ছা জানাই আগামীর দূর্গম গীরি পারি দিয়ে বাংলাদেশকে দেখানো পথে স্বপ্নের শিখরে পৌছে দিয়ে নতুন চমকের চমকত্ব বাস্তবায়ন করার জন্য। যে আশা ও আকাঙ্খার স্বপ্ন বাংলার জনগণ বুনেছে তা যেন আগামীতে বাস্তবায়ীত হয় সেই প্রত্যাশা ও বিশ্বাস শতভাগ আমারও। আজ গণভবনে আমার নেত্রীর আমন্ত্রণে সকলের সঙ্গে আমিও উদ্বেলিত এবং অতি কাছের বন্ধুদের শপথ এমনকি আমার অভিবাবকদের শপথে বিহবল ও আপ্লুত এবং গর্বিত। আমার সর্বশ্রদ্ধেয় জব্বার ভাইয়ের আলিঙ্গনে রোমাঞ্চিত এবং আগামীর জন্য আরো কোন কঠিন দায়িত্ব পালনে উদগ্রীব। জব্বার ভাইয়ের গত পর্বের মন্ত্রী হয়ে চতুর্থ আলিঙ্গনটি ছিল আমার সাথে আর এবার ১ম আলিঙ্গনটি হল আমার সাথে। ভাইকে আমি ১২ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্ভোধনের পূর্বে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমের সামনে সাবেক মাননীয় অর্থমন্ত্রীর জন্য প্রতিক্ষারত অবস্থায় বলেছিলাম ভাই আপানি আবারও স্বপদে বহাল হবেন এবং হয়েছেনও তাই। এই হল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্পিরিচুয়াল যোগাযোগের ফল। আমার এবং কসবা আখাউড়ার অভিবাবক জনাব আনিছুল হকও স্বপদে বহাল রয়েছেন; শপথ নিয়েছেন আজ; এই আনন্দ প্রকাশ করার মত নয় বরং উপভোগের। জনাব আনিছুল হক সাহেবকে সালাম করে দোয়া নিয়ে নির্বাচনী কাজ শুরু করেছিলাম এবং বিজয় অর্জনের পর উপজেলা ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্রে সালাম করে বলেছিলাম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কক্ষেই হবে পূর্ণতার সালাম এবং হলও তাই। গতকাল সালাম করে সেই পূর্ণতা অর্জীত হয়েছিল আর আজ বঙ্গভবন গেটে কিঞ্চিত দেখা ও ফোনে শুভেচ্ছা দিয়ে সেই পূর্ণতার শতভাগ পুর্ণ করে বাসায় ফিরে এই লিখা শুরু হলো।
শাহরিয়া আলম ভাই এবং পুলক ভাইকে শুভেচ্ছা ও সালাম। চলমান ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে আমাদের দোয়া ও ভালবাসায় এগিয়ে যান আগামীর লক্ষ্যে। আমার প্রিয় লোটাস কামাল ভাইকে নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ায় খুবই খুশী এবং সাফল্য কামনায় প্রার্থনা ও শুভকামনা জানিয়ে সম্পর্কের বেড়াজাল সহযোগীতা ও দায়বদ্ধতায় রূপান্তরিত করতে চাই। জনাব কামাল আহমেদ মজুমদারকে প্রতিমন্ত্রী করার জন্য ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। তিনিই বঙ্গবন্ধুর শাহদাৎ বরণের পর ঢাকায় প্রথম প্রতিবাদকারী ব্যক্তি। আজ আমি খুবই খুশী এই ব্যক্তিকে সম্মানীত করে নতুন দায়িত্বে নিয়োজিত করার জন্য। ব্যক্তিগতভাবে অনেকের সঙ্গেই সম্পর্ক রয়েছে আর আপনারা আজ এমপি ও মন্ত্রী হয়েছেন যা আমার শতভাগ আনন্দের কারণে পরিণত হয়েছে। আপনাদের সকলের জন্য রয়েছে আমার শুভকামনা ও ভালবাসা। সর্বোপরী প্রয়াত আশরাফ ভাইয়ের কথাটি মনে পরে; আওয়ামীলীগ একটি অনুভূতি; একটি বৃহৎ পরিবার। পিতার উত্তরাধিকারী হিসেবে এগিয়ে যাব আগামীর সোনালী দিগন্ত উন্মোচনের জন্য এবং ইশতেহারের পুঙ্খানুপুঙ্খ বাস্তবায়নে সহযোগীতা অব্যাহত রেখে নিরন্তর শুভ কামনায় আমি ও আমার পরিবার এবং কর্মস্থলের সহকর্মীবৃন্ধ এবং জন্মস্থানের সকল জনগণ এমনকি বসবাসকারী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্য ও ইতিহাস সৃষ্টি করে ক্ষমতার মাহেন্দ্রক্ষণে জানাই কৃতজ্ঞতা সবাইকে (যারা এই নির্বাচনী আয়োজনের সঙ্গে কোন না কোন ভাবে জড়িত ছিলেন আর আজ এই শপথ অনুষ্ঠানের সফলাতয় আনন্দ পূর্ণ করতে সহযোগীতা করেছেন)। বিজয়ী দলের কর্মী ও সমর্থক এবং শুভাকাংখি হিসেবে জানাই পরাজিত সকল প্রার্থী ও এর সমর্থকদের অভিনন্দন। আপনাদের অংশগ্রহন ও সহযোগীতাই এই নির্বাচন হয়েছে প্রাণবন্ত ও সর্বমহলে গ্রহনযোগ্য। আজ মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্টানে দেশী ও বিদেশী সকলের অংশগ্রহনে উৎসবমূখর; প্রাণবন্ত এমনকি গ্রহণযোগ্যতা সমৃদ্ধির আবরণে উদ্ভাসিত হয়েছে। আসুন আমরা সবাই মিলে এই দেশটাকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত করি শেখ হাসিনার হাত ধরে তাঁরই যোগ্য নের্তৃত্বে। ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত সদস্যদের বলতে চাই আসুন দেশ গঠনে জনমতের প্রতিফলনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি। আপনারা জানেন যে, আপনারা জনগণের ভোটেই পাস হয়ে এসেছেন; আর ঐ ভোটারদের সম্মান করা এখন আপনাদের জন্য ফরজে আইন হয়ে দাড়িয়েছে নতুবা আগামীতে ঐ ৭টিও হারাবেন একমাত্র জনবিমুখতায়। নুতন যুগের সুচনাকে মহিমান্বিত করুন। নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছিল বলেইতো আপনারা বিজয়ী হয়েছেন নতুবা পরাজিতই হতেন। তাই টাল-বাহানা বা নালিশ ও মালিশ ছেড়ে সত্যের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে বাস্তবতার নিরীখে নিজেদেরকে দাঁড় করান। এটাই উপযুক্ত ও উর্বর সময় নিজেদেরকে প্রমান করার এবং আপনাদের ঘূনেধরা ঐক্যফ্রন্টকে পুনরুদ্ধার করার।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর নেতা কর্মী ও সমর্থকদের জানাই কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা এবং নিরন্তর নি:শর্ত ভালবাসা। আমরা একটি বৃহৎ পরিবার আর এই পরিবার ঐক্যবদ্ধ থাকলে কি হয় তা এবার দেখেছে বিশ্ব। তাই এই ঐক্যকে আকঁড়ে ধরে আগামীর বিজয় সুনিশ্চিতে এগিয়ে যাব কাধে কাধ মিলিয়ে এই হউক আমাদের আজকের শপথের দিনের প্রত্যয়দৃপ্ত অঙ্গিকার। শুভেচ্ছা ও শুভ কামনায়… তাজুল ইসলাম নয়ন; সাংবাদিক এবং ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক॥