ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সিআইডি পুলিশের সোর্স হারুন হত্যার বিচারের দাবীতে ফুঁসে উঠছে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবী নিহতের পরিবার সহ এলাকাবাসীর। হারুন হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে গত রবিবার দুপুরে কসবা স্বাধীনতা চত্বরে এক বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদের আয়োজন করে নিহত হারুনের পরিবার ও বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী। এতে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ সুশীল সমাজের লোকজন অংশগ্রহন করেন। নিহরের স্ত্রী হাসিনা আকতার বলেন; হত্যার প্রায় ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও মূল আসামীরা এখনো ধরা ছোয়ার বাহিরে। প্রধান আসামী কুমিল্লায় সিআইডিতে কর্মরত দারোগা আলী আজম বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখাচেছ। এখনো আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় আতংকে দিন কাটাচ্ছি। রেলওয়ে পুলিশের নিরবতাও এলাকাবাসীর কাছে এখন প্রশ্নবিদ্ধ। একটি মহল ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহীত করার তৎপরতা চালাচ্ছে এমনটাই দাবী নিহতের পরিবারের। এ ঘটনায় সুবিচার পাওয়ার আশায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নিহতের পরিবার সহ এলাকাবাসী। মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন: কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সোলেমান খান, সাধারন সম্পাদক নেপাল চন্দ্র সাহা, সহ- সাধারন সম্পাদক সোহরাব হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো.মনির হোসেন, ঢাকা মহানগর আসকের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ও নিহতের মেয়ে শান্তা সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
এ বিষয়ে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি শ্যামল কান্তি দাস জানান; হারুন হত্যার আসামীদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া প্রধান আসামী আলী আজম সিআইডি পুলিশের সদস্য হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমানের অপেক্ষায় আছি।
উল্লেখ্য গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার চকবস্তায় এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে রেল লাইনের পাশে ফেলে রাখে হারুনকে মাদক চোরাকারবারীরা। নিহতের পরিবারের দাবী হত্যাকারীরা হত্যা করে রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে বলে গুজব রটায়।