প্রশান্তি ডেক্স॥ নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ বাস্তবায়নে বেশকিছু কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সেতু বিভাগ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে এসব পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এ জন্য গত রোববার রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে সেতু বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভা সূত্রে জানা গেছে, প্রক্রিয়াধীন সম্ভাব্য প্রকল্পগুলোর বিবরণে সভায় জানানো হয়, ঢাকা ইস্টওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পে মালয়েশিয়া সরকারের প্রস্তাব গ্রহণ এবং নেগোসিয়েশন সম্পন্ন হবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে। সেইসঙ্গে নির্মাণ সম্পন্নের সম্ভব্য সময়সীমা জুলাই ২০২১ হতে জুন ২০২৮ ধরা হয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি হতে জুনের মধ্যে যমুনা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার জন্য প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদন (জিওবি অর্থায়নে) করা হবে। বরিশাল-ভোলা সড়কে কালাবদর ও তেঁতুলিয়া নদীর উপর সেতু নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। নির্মাণ সম্পন্নের সম্ভাব্য সময়সীমা জুলাই ২০২৩ হতে জুন ২০২৮ ধরা হয়েছে।
ভূলতা আড়াই হাজার- নবীনগর-বাঞ্চারামপুর সড়কে মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হবে ২০১৯ সালের জুন মাসে। এর নির্মাণ সম্পন্নের সম্ভাব্য সময়সীমা জুলাই ২০২৩ হতে জুন ২০২৮ এর মধ্যে। ঢাকা ইনার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ হতে অনুমোদন গ্রহণ করা হবে চলতি বছরের মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে। এ ছাড়া বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর বিবরণ সভায় তুলে ধরা হয়।
এসবের মধ্যে রয়েছে- পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ, বিআরটি লেন নির্মাণ, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপেসওয়ে নির্মাণ এবং ঢাকা শহরে সাবওয়ে নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা। সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ৬২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল, র্যাম্পসহ ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণসহ ঢাকা শহরে সাবওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলমাম রয়েছে।