প্রশান্তি ডেক্স॥ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ঢাকা ত্যাগের সময় জাপার কেন্দ্রীয় নেতারা বিমানবন্দরে এলেও আসেননি স্ত্রী রওশন।
গত রবিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন এরশাদ। জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) খালেদ, ছোট ভাই হুসেইন মোর্শেদ ও তার স্ত্রী রুকসানা খান মোর্শেদ তার সঙ্গে গেছেন।
সিঙ্গাপুর যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপার কেন্দ্রীয় নেতারা এরশাদকে বিদায় জানান। এ সময় তার পাশে ছিলেন জাতীয় পাটির শীর্ষ নেতারা। বিদায় বেলায় এরশাদকে এদিক-সেদিক তাকাতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ অপেক্ষায় করেন তিনি। একাধিক নেতা জানান, এরশাদ মূলত তার স্ত্রী রওশনকে খুঁজছিলেন। তবে বিদায় জানাতে আসেননি ৬২ বছরের দাম্পত্য জীবনের সঙ্গী।
জানা যায়, প্রায় ২০ বছর ধরে আলাদাভাবে বসবাস করছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও বেগম রওশন। বিদিশা ইসলামের সঙ্গে বিয়ের পর এরশাদ গুলশানের বাসা ছেড়ে বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে চলে যান। পরে বিদিশাকে ছেড়ে দিলেও এক ছাদের নীচে আসেননি দুজন। তবে রাজনীতিটা এখনও একদলেই করছেন।
এরশাদের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এরশাদ ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ছেন। খেতে পারছেন না, হাঁটা-চলাও করতে পারছেন না। এমনকি কিছু মনেও করতে পারছেন না।
চিকিৎসকরা বলছেন, গত নভেম্বর থেকেই আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন এরশাদ। এটা ছিল বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা। এইসময়ে তিনি সিঙ্গাপুর যান চিকিৎসার জন্য। এরপর এরশাদ ঢাকায় ফিরে আসেন। ঢাকায় এসে তার শরীর আরো দুর্বল হতে থাকে। তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে যান হুইল চেয়ারে করে।
উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেয়া এরশাদ এ বছর নব্বইয়ে পা দেবেন। নয় বছর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখার পর নব্বইয়ের গণঅভ্যত্থানে ক্ষমতাচ্যত হয়ে কিছুদিন কারাবরণ করা এরশাদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনও গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।