এইতো সদ্য শেষ হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজয়োৎসব। এই বিজয় উৎসব ঘিরে ছিলো নানান আয়োজন ও স্লোগান এবং আগামীর পথদর্শন। সবই সুন্দর এবং আগামীর জন্য শিক্ষনীয়। বিশাল এই বিজয়কে বরণ করে নেয়ার মধ্যে ছিলো নতুনের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আগামীর জন্য কিছু সৃজনশীল ভাবনা এবং বাস্তবতার নিরিখে কথা রাখার ওয়াদা। সবই যেন এক যোগসূত্র বিনিসূতোর মালায় গাথা।
রাজনীতি ও বিশ্বনীতির পট পরিবর্তনের এক দৃষ্টান্ত ছিলো চমক দেখানো বিজয় উৎসবেও। বাংলাদেশ ও এই দেশের মানুষ কত বিচক্ষণ এবং দূরদর্শী তা বিশ্ববাসী ঢের টের পাচ্ছে এবং অক্ষরে অক্ষরে সবক আকারে শিখে সামনের দিনে কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে এগুচ্ছে। আর এই সবই হয়েছে একজনের ক্যারেশমেটিক গুণ ও দুরদর্শীতার কল্যানে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৌভাগ্যবান এই জন্য যে, বঙ্গবন্ধুকে পেয়ে তাঁরই মধ্যেদিয়ে এই দেশ পেয়েছে এবং তৎপরবর্তী নৈরাজ্যকে আধারে পরিণত করে শেখ হাসিনার আভির্ভাবে দেশ উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী হয়েছে। স্থিতিশীলতা বিরাজমান রয়েছে, উন্নয়নের গতিশীলতা অব্যাহত রয়েছে। আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ইতিহাসের পাতায় অর্জনের ভরপূরতা পূর্ণ করতে যাচ্ছে। দেশ ও ব্যাক্তি শেখ হাসিনা তার অর্জনের ষোলকলা পূর্ণ করেছে এবং এখন আরো নতুন নতুন অর্জন উপচে পড়ছে।
আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা এই অর্জনের যুগে এসে নিজেদেরকে তৃপ্ততার সাথে নিশ্চিত আগামীর গন্তব্যে নিয়ে যেতে সক্ষমতায় পৌছেছি। সবই লিখলাম ইতিবাচক কিন্তু নেতিবাচক একটি ভাবনা আমাকে কষ্ট ও বেদনায় উত্তেজিত করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত তাই আজ এই লিখায় প্রকাশ করে নিজেকে দায়মুক্ত করে অন্যকে তার ভাবনায় নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিতে চেষ্টা করছি মাত্র। ঢাকার রাস্তায় বের হলেই চোখে পড়ে একটি রঙ্গিন ফেষ্টুন যেখানে প্রধানমন্ত্রীকে এমনকি বাঙ্গালী জাতির পিতাকে গলা চেপে ধরার মত করে ডিজাই করা হয়েছে। এই ব্যানার বা ফ্যাষ্টুনটি যখনই আমার চোখে পড়ে তখনই আমি কষ্ট পায় এই ভেবে যে, যাদের নিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে তারা কিন্তু আমার আপনার মত অতি সাধারণ কেউ নন, বরং তাদেরকে নিয়ে কিছু করতে হলে সাত-পাঁচ ভাবতে হবে। ইতিবাচক ও নেতিবাচক সকল দিক বিবেচনায় নিয়ে পাছে লোকে কিছু বলে এমন কিছু করা যাবে না এবং আমাদের সূদূর আগামীর জন্য ইতিবাচক নান্দনিক রূচিশীলতা বিরাজমান রেখে কিছু করতে হবে।
কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য এই লিখা নয় বরং সচেতনতা বৃদ্ধি এমনকি আগামী দিনে ঐ মহান ব্যক্তিদের নিয়ে কিছু করতে চাইলে সৃজনশীলতাকে উন্মুক্ত রেখে সর্বজন গৃহীত প্রস্ফুটিত গোলাপ উপহার দেয়ায় মনোনিবেশ করতে হবে। আমি এমনকি আরো অনেকেই এই ছবিগুলির ডিজাইন দেখে একটু কষ্ট পেয়েছি। আশা করি ঐ ছবিগুলি আরো সুন্দর করে পূর্ণাঙ্গ ছবিতে নতুন ভাবনার প্রকাশ ঘটানো যেতো। ঐ টুটি বা গলা চেপে ধরার অবস্থা না করে অন্য কিছু করা যেতো। ডিজাইন যত সুন্দরই হউক না কেন আমার শ্রদ্ধার জায়গা টুকু নিয়ে যেন আর কেউ আঘাত না পায় সেই ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন ভাবনায় ঐ ছবিগুলি প্রতিস্থাপিত হউক এবং শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় পূর্নতা বিরাজ করুক।
আমাদের মানষপটে ঐ মহান ব্যক্তিদ্বয় উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত জলন্তভাবে প্রস্ফুটিত। তাই বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারকে নিয়ে যা কিছুই করি না কেন তা যেন হয় সর্বজন শ্রদ্ধেয় এবং গ্রহনযোগ্য ও ইতিবাচক এবং আগামীর জন্য দৃষ্টাবহুল উদাহরণে আবৃত্ত। আমি এই ছবিগুলোকে দেখে এবং আমার ৬বছরের মেয়ে ও ৯ বছরের ছেলে এমনকি অফিস কলিগদের মাঝেও এই কষ্টের অনুভূতি জাগ্রত হতে দেখেছি। তাই নেতা, কর্মী, সমর্থক, শুভাকাংখীদের প্রতি বিনয়ী অনুরোধ আগামীর ইতিবাচক দৃষ্টান্তের কল্যাণে আমাদের আদর্শ ও অনুপ্রেরণাকে স্বচ্ছতায় জাগ্রত রাখি এবং কথা ও কাজে সমন্বয় ঘটিয়ে এগিয়ে যায়। জয় হউক আমাদের সকলের।