জন্ম মৃত্যুতে চিকিৎসকই মানুষের পাশে থাকে…স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আনোয়ার হোসেন॥ জন্ম-মৃত্যুতে চিকিৎসকই মানুষের পাশে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী আলহাজ জাহিদ মালেক স্বপন। তিনি বলেন, মানুষ তার জন্মলগ্নে ডাক্তার কিংবা নাসের ছোঁয়া পায়। মৃত্যুকালীন সময়েও কোনো না কোনো ডাক্তার কিংবা নার্সই তার চিকিৎসাসেবায় নিযুক্ত থাকেন।jonmo mretto ta cekitsok
চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কতিপয় অসাধুদের কারণে রোগীর স্বজনরা ব্যথিত হন। এ ব্যথা আমার মনে লাগে, সে ব্যথা দেশের গায়ে লাগে, সে ব্যথা বাংলার মানুষের ব্যথাতে পরিণত হয়। তাই সততার সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।’
গত মঙ্গলবার বিকালে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বিডি থাই গ্রুপ, সানলাইফ ইনস্যরেন্স কো. লি. ও গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়োজনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডি থাই গ্রুপ ও সানলাইফ ইনস্যরেন্স কোম্পানির চেয়ারপারসন অধ্যাপক রুবিনা হামিদ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক শাবানা মালেক, রায়হান হামিদ ও রাহাত মালেকসহ অন্যান্য পরিচালকরা, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক আসলাম রেজা, বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম লি. এর ব্যবস্থানা পরিচালক রুহুল আমিন, সানরাইজ ইনস্যরেন্সের মুখ্য নির্বাহী একেএম শরীফুল ইসলাম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডা. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ, বিডি থাই গ্রুপ ও সানলাইফ ইনসিওরেন্স লি. এর পরিচালক ড. কাজী আকতার হামিদ প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে বাংলার ১৬ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করতে চাই। আমাদের যতটুকু আছে, তাই নিয়ে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার যে গুরুদায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন তা আমি সততা, নিষ্ঠা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বাবাকে বারবার স্মরণ করে বলেন, ‘আমি বাবা কর্নেল মালেকের আদশের পথে চলছি। তিনি সারা জীবন সততা, পরিশ্রম, প্রজ্ঞা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করেছেন। আমিও সে-মতেই কাজ করে যাচ্ছি। বাবার মতো আমিও শর্টকাট পথের কথা আমি চিন্তা করি না।’
তিনি সবার উদ্দেশে বলেন, ‘সুনাম অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। অর্জিত শিক্ষাকে ভালো চিন্তার পেছনে ব্যয় করতে হবে। ভালো চিন্তা করলে ভালো কিছু করা সম্ভব। আর দেশের জন্য, দশের জন্য ভালো কিছু করতে পারলে সুনাম আসবেই। যে ব্যক্তি সুনাম অর্জন করবেন, তিনি সফল হবেন। দেশ ও জাতি তাকে মনে রাখবে।’ অনুষ্ঠান শেষে দেশের জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সংগীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.