আগামী অধিবেশনেই বৈষম্য বিলোপ আইন পাস হবে…আইনমন্ত্রী

আনোয়ার হোসেন॥ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বৈষম্য বিলোপ আইন তৈরির কাজ চলছে এবং এটি এখন শেষ পর্যায়ে। চলতি অধিবেশনে সম্ভব না হলে আগামী অধিবেশনে এটি পাস করা হবে।agame adebashe
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস এবং কার্যকর করেছি। এখন সাইবার ট্রাইব্যুনালকে জোরদার করবো। কারণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উপযুক্ত বাস্তবায়ন প্রয়োজন হলে সাইবার ট্রাইব্যুনালকে সুষ্ঠু এবং শক্ত করতে হবে। সে কারণে সাইবার ট্রাইব্যুনালের দিকে নজর দিয়েছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যাতে কোনো অপব্যবহার না হয় সেটার দিকেও লক্ষ্য রাখছি।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অ্যাজমা অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের ২২তম এজিএম ও আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশে বর্তমানে প্রায় এক কোটি মানুষ অ্যাজমায় ভুগছে। এটা খুশির খবর নয়। তাই এ রোগের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি বলেন, দূষিত বায়ু অ্যাজমার অন্যতম কারণ। তাই বায়ু দুষণ কমাতে এবং নির্মল বায়ুতে শ্বাস নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কলকারখানা, যানবাহন ও ইটভাটায় নির্গত ধোঁয়া পরিশোধনের ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। রাস্তার পাশের আবর্জনার স্তুপ সরিয়ে ফেলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দেশের স্বাস্থ্য খাতে যেসব উন্নয়ন হয়েছে তা আর কোনো সরকারের আমলে হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দশ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এর আগেও দশ হাজার চিকিৎসক ও দশ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের স্বাস্থ্যখাতের চিকিৎসা সেবা ও বিভিন্ন প্রতিষেধকমূলক কার্যক্রমের ফলে দেশের মানুষের গড় আয়ু এখন পাকিস্তান ও ভারতের উপরে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ইতিমধ্যেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গ্রামাঞ্চলে স্থাপিত ১৩ হাজার ৭০০ কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩৩ রকমের জরুরি ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে গ্রামীণ রোগীদেরকে সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠির চিকিৎসা সেবা প্রদানে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এবং তা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে।
অ্যাজমা অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. বশীর আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সনাল, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.