মো: মাসুদ রানা॥ মাানবতা আজ মানুষের মন ও হৃদয়ে অনুপস্থিত। অপরকে ল্যাঙ মেরে ফেলে, নিজে উপরে উঠার মানসিক দৈন্যতা সর্বত্র বিরাজমান। আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির উপর ভিনদেশী আগ্রাসন মহাপ্রলয়ের রূপ ধারন করেছে। ঘরে ঘরে ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের প্রতি শিশু ও নারীদের মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি, ব্যক্তিজীবনে এর অনুসরন ও প্রভাব আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধনগুলোকে করছে ছিন্ন, ভিন্ন।
অতিরঞ্জিত মাত্রায় অপরাজনৈতিক চর্চা, কোন্দল ও বিভক্তি সামাজিক অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করছে।আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে শাব্দিকভাবে, প্রকৃতপক্ষে নয়।নিজেকে তথা রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করে উন্নয়নের সহযাত্রী হওয়ার নৈতিক শিক্ষা, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় অনুপস্থিত। তাইতো আদর্শ শিক্ষকের পাশাপাশি আদর্শ শিক্ষানবীসের সংখ্যাও ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
এমন হাজারো সমস্যায় আমাদের ব্যক্তি ও সামাজিক জীবন জর্জরিত। এহেন অবস্থা থেকে উত্তরনের চেষ্টা চালাতে হবে সু-শিক্ষিত সমাজকে। যারা কিছু শিক্ষানবীসের প্রতিনিধিত্ব করার সক্ষমতা রাখেন, তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে সামাজিক অবক্ষয় রোধে, আলোকবর্তিকা হয়ে। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনের মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিতে হবে সর্বাগ্রে। রাষ্ট্র থেকে কিছু নেওয়ার নয়, রাষ্ট্রকে কিছু দেওয়ার নৈতিক শিক্ষা হৃদয়ে ধারন করতে হবে। প্রতিবেশি, বন্ধু, আতœীয়কে কোনঠাসা করা নয়, বরং সহযোগিতা করার মানসিকতা ধারন করতে হবে। তবেই আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন সুন্দর ও সাবলীল হতেও পারে।
তাই সু-শৃংখল, সাবলীল, স্বচ্ছ ও কর্মমুখী ব্যক্তি ও সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টি ও পরবর্তী প্রজন্মকে একটি সুন্দর পরিবেশ দিয়ে যেতে হলে, সু-শিক্ষিতদেরই গুরুদায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।