প্রশান্তি ডেক্স॥ রোজাদারদের ইফতারের প্রধান অনুষঙ্গ খেজুর। তাই রমজানে খেজুরের চাহিদা বাড়ে। ক্রেতাদের এই চাহিদাকে মাথায় রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে বিক্রি করে ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর।
তবে ইফতারের খেজুর না খেলেই নয়। তাই বাজার থেকে খেজুর কেনার সময় অবশ্যই দেখে কিনতে হবে। কারণ পচা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর খেলে পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বে।
বাজারে অনেক ধরনের খেজুর আছে। বেশিরভাগ ক্রেতারা রমজানের এ সময় খেজুর কেনেন। নিয়মিত খেজুর না কেনায় আসল পণ্য চিনতে চেনা যায় না। ফলে কিছু দোকানি নিম্নমানের খেজুরকে ভালোমানের বলে বিক্রি করেন। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিম্নমানের খেজুর তো বাজারে রয়েছেই।
গত ২৯ এপ্রিল (সোমবার) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের আদর্শ ও শাহীন কোল্ড স্টোরেজে (হিমাগার) অভিযান চালিয়ে ৪১০ টন মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। এ ঘটনায় শাহীন কোল্ড স্টোরেজকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাব- ১১ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকার অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম, র্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি আলেপ উদ্দিন, সিনিয়র এএসপি জসিম উদ্দিন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম প্রশান্তিকে বলেন, রোজাকে কেন্দ্র করে এসব খেজুর বাজারে সরবরাহ করার জন্যই মজুদ করা হয়েছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুটি হিমাগারে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চালিয়ে ৪১০ টন মেয়াদোত্তীর্ণ নষ্ট খেজুর জব্দ করা হয়েছে।
তবে এখন প্রশ্ন হল ভালো খেজুর কীভাবে চিনবেন?
মেয়াদোত্তীর্ণ ও পচা খেজুর কীভাবে চিনবেন এ বিষয়ে প্রশান্তিকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম বলেন, বাজারে অনেক ধরনের খেজুর রয়েছে। ভালো খেজুর চেনার কিছু উপায় রয়েছে। প্যাক করা খেজুর কেনা সবচেয়ে ভালো। এই খেজুরগুলোর প্যাকেটে সাধারণত মেয়াদ লেখা থাকে। এছাড়া খোলা খেজুর কিনতে হলে খেয়াল রাখতে হবে খেজুরে যেন পচা গন্ধ, পোকা ধরা, বেশি কালছে, বেশি শুকিয়ে যাওয়া না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, খেজুর সাধারণত দেড় বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে খেজুর ভালো রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে আমাদের ফ্রিজের নরমালে রাখা। ফ্রিজের নরমাল তাপমাত্রা খেজুর ভালো রাখে।
তিনি আরো বলেন, খেজুরসহ বিভিন্ন ভেজাল পণ্য যে বাজারে বিক্রি হতে না পারে সেজন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে আমরা কায়েকদফা অভিযান চালিয়েছি। বাজারে যে কোনো ধরনের ভেজাল খেজুর না থাকে সেজন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।