মাদক ব্যবসায় জড়িত কোনো পুলিশকে ছাড় নয়

প্রশান্তি ডেক্স॥ মাদকের সঙ্গে পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আবারও ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব বলেন তিনি।madok bebsha
কমিশনার বলেন, ‘মাদক বন্ধ করতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের পেছনের মদদদাতাদের খুঁজে বের করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সিসিটিভি লাগানোর কারণে এখন আর কেউ অপরাধ করে পার পায় না। ঢাকা মহানগরীকে হাজার হাজার উঠান বৈঠক করে মানুষকে এক করা হয়েছে। দূর করা হয়েছে সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু। ঢাকা শহরে এখনো কোনো মাদকের আখড়া থাকলে পুলিশকে জানান, ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ সময় পুলিশ ইভটিজিং, মাদক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে জনমত সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। একের পর এক জঙ্গি আস্তানা খুঁজে বের করে ধংস করে দেয়া হয়েছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ পুলিশ সাফল্য অর্জন করেছে। এর পুরো কৃতিত্ব দেশবাসীর।
চাঁদাবাজী ও টেন্ডারবাজদের সম্পর্কে কমিশনার বলেন, ‘বাসা-বাড়ি করার সময় কেউ চাঁদা চাইলেই তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে।

পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
কমিশনার বলেন, ‘নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে এ তথ্য ভান্ডার তৈরি করা হয়েছে। এর নাম দেয়া হয়েছে সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। নাগরিকদের এ তথ্য সংগ্রহের কারণে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে।’
পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর যেন সবাই নিরাপদে পালন ও উদযাপন করতে পারে সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের কাছে কোনো তথ্য আসলে তথ্য দাতার পরিচয় গোপন রেখে অভিযান চালানো হয়। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে ডিবি, কাউন্টার টেররিজমদের অভিযানে পাঠানো হয়। কারণ অনেক ক্ষেত্রে থানা পুলিশের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ থাকার সন্দেহ করা হয়।’
তাই মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। তাদের চিহ্নিত করে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার আহ্বানও জানান তিনি। থানায় গিয়ে যদি সহায়তা না পান তাও জানানোর অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএমপির উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.