প্রশান্তি ডেক্স॥ থানায় মামলাযোগ্য নয় এমন ঘটনা ঘটলে জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করতে হয়। আবার কেউ ভয়-ভীতি দেখালে, কোনো কারণে নিরাপত্তার অভাব দেখা দিলে, কোনো ধরনের অপরাধের আশঙ্কা দেখলেও জিডি করা যায়। জিডি করার পর পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। তাই আসুন জেনে নেই কীভাবে জিডি করতে হয়। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আব্দুল মোমেন-।
জিডি কী: জিডি (জেনারেল ডায়েরি) বা সাধারণ ডায়েরি হলো কোন মূল্যবান জিনিসপত্র বা দলিল হারিয়ে গেলে, ভবিষ্যতে কারো দ্বারা কোনো ব্যক্তির জীবন বা সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে ওই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর লিখিত আবেদন করতে হয়।
জিডি কেন করা হয়: সাধারণভাবে কারো কোনো মূল্যবান জিনিসপত্র (মোবাইল, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি) হারিয়ে গেলে জিডি করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন মূল্যবান দলিল, সনদ, পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জিডি করতে পারেন। আবার কোনো ব্যক্তি তার জীবন নাশের হুমকি পেলে অথবা তার জীবন বা সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করলে ওই আশঙ্কার বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করতে পারেন।
জিডি কোথায় করা হয়: জিডি করার ক্ষেত্রে ঘটনার স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত যে এলাকায় কোনো জিনিস হারিয়ে যায় অথবা জীবন বা সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতির হুমকি আসে, ওই এলাকার নির্দিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর জিডি করা হয়।
অনলাইনেও করা যায়: বর্তমানে অনলাইনেও জিডি করা যায়। এর জন্য www.police.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘Citizens help request’এ ক্লিক করতে হবে।
জিডি’র ফি: সরকারিভাবে জিডি করার জন্য কোনো ফি নির্ধারণ করা নেই। তাই ভুক্তভোগী বিনামূল্যে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত আকারে আবেদন করতে পারেন। কেউ জিডি লিখতে না পারলে কর্তব্যরত অফিসারের সাহায্য নিতে পারেন।
জিডি’র কপি: জিডির একটি কপিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিডি নম্বর লিখে তারিখসহ স্বাক্ষর করেন এবং অফিস সীল মেরে দেন। এরপর জিডির একটি অনুলিপি ভুক্তভোগীকে সংরক্ষণের জন্য দেওয়া হয়। অন্য একটি কপি থানায় নথিভুক্ত করা হয়। এরপর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিডির বিষয়স্তু আমলে নিয়ে ঘটনার সত্যতা ও গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন।