শিশু পাচার রোধে সম্মিলিত কাজ করতে হবে…ডেপুটি স্পিকার

প্রশান্তি ডেক্স॥ শিশু পাচার রোধে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
তিনি বলেন, শিশু পাচার ও শিশু শ্রম প্রতিরোধের পাশাপাশি শিশু অধিকার নিশ্চিতে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে।shesho pacher rode
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। কমিউনিটি পার্টিসিপেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিডি) আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোসলেমা বারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের চেয়ারম্যান শামসুল হক টুকু এবং সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার। মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী।
সাংবাদিক নিখিল ভদ্রের সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন শিশু প্রতিনিধি মো. আরিফ, ইনসিডিন প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম খান,

বিএনডব্লিউএলএ-এর জান্নাতুল ফেরদৌস, অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের লিমন ইসলাম ও সিপিডির শরিফুল্লাহ রিয়াজ।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মমতার কারণেই সরকার দেশে শিশু বাজেট বরাদ্দ করেছে। এর আগে কোনো সরকার এ ধরনের বাজেট বরাদ্দ দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিশুদের কল্যাণে সবসময় উদারতার পরিচয় দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার বিধান করেছেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শিশুদের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয় তা সঠিকভাবে সময়মতো শিশুদের কল্যাণে যাতে খরচ হয় সেজন্য মন্ত্রণালয়ের নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ সময় শিশুদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে বাজেটের সুষম ব্যয় নিশ্চিত করতে মনিটরিং ব্যবস্থা আরও বেশি জোরদারে গুরুত্বারোপ করেন ডেপুটি স্পিকার।
বিশেষ অতিথি শামসুল হক টুকু বলেন, নারী-শিশুসহ মানব পাচার প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়টিকে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের পাশাপাশি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছে। এ কাজে সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা নিচ্ছে। এ কাজে সফলতার জন্য আমাদের সুনাগরিকের ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভায় মূল প্রবন্ধে শিশু পাচার রোধে আইন প্রণয়ের পাশাপাশি আইন প্রয়োগে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। পাচার বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি এ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে বিশেষ আদালত গঠন এবং সেই আদালতকে শিশুবান্ধব করার সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.