ইব্রাহীম খলিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা এই দুইয়ের সমন্বয়েই জাতি অগ্রসর হচ্ছে। আদর্শ হিসেবে, অনুপ্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করছে তাদের ত্যাগ এবং উৎসর্গগুলো। কিন্তু মাঝে মাঝে কোন কোন সংবাদ আমাদেরকে অনেক কষ্ট দেয়। কারণ আমরা যাদেরকে শ্রদ্ধা এবং সম্মান করি, এমনকি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ সম্মান এবং যা যা প্রয়োজন সবকিছুই করা হচ্ছে ঠিক সেই সময় যদি কোন মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রের স্খলন ঘটে তাহলে লজ্ঝা রাখি কোথায় এমনকি কোন ভাষাই খুজে পাওয়া যায়নি ধিক্কার জানানোর।
কথায় আছে শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে, শাসন ভাল এবং শাসনের মাধ্যমে বৃদ্ধ বয়সে বা জীবন সায়ান্নে এসেও কি আর চরিত্রের পুনঃগঠন সম্ভব? আর তাও যদি হয় ভাল, আগামীর জন্য। এমনি একটি সাহসী পদক্ষেপ ও পাশাপাশি দুঃখজনক লজ্জার ঘটনা অত্র জেলার কসবা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জনাব শহীদুল্লার বিবেক ও নীতি আদর্শ বিবর্জীত কাজ। যার খেসারত হিসেবে অত্র উপজেলার সকল বীর সেনারা বা মুক্তিযোদ্ধারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেন এমন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডকে অবহিত করেন। ফলশ্রুতিতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড তাদের উভয়কে ডেকে বিস্তারিত বিষয় শুনেন এবং জনাব শহীদুল্লাহ তখন কোন সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিয়ে সুকোজ নোটিশ জারি করেন। কিন্তু সেই সুকোজ নোটিশেরও কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় সর্বশেষ গত ২৯/১১/১৬ইং স্মারক নং ৮৮৭(২৩)২০১৬ তারিখের পত্রের মাধ্যমে জানানো হয় তার বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা গৃহীত হয়েছে। সেই মোতাবেক তিনি তার কমান্ডার পদ ডেপুটি কমান্ডার এর নিকট বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। যদিও এটা একটি লজ্জা তারপরও বলব এই শাসনের মাধ্যমে আগামীর জন্য দৃষ্টান্তমূলক একটি শিক্ষা জলন্ত উদাহরণ হিসেবে দৃশ্যমান থাকবে।
এই চিঠির অনুলিপি এখন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে যা উপরে হুবহু উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা তিনি এই শিক্ষায় শিক্ষা নিয়ে আগামী প্রজন্মের নেতা এবং নেতৃস্থানীয় সকলকে দায়িত্ব সচেতন এবং স্বচ্ছতা ও সততার দৃষ্টান্ত পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবেন। সকল মুক্তিযোদ্ধা ও দায়িত্বশীল মানুষদের এখনই সময় নিজেদেরকে শুধরে দায়িত্বশীল আচরণের চর্চা করার। নিজেদের ভিবেদ নিজেরাই মিঠিয়ে একসঙ্গে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নেয়ার।