সরকারের প্রধান্যে উন্নয়নের আরেক ধাপ…

Vector-Smart-Object-1-300x127[1]সরকার এবং রাষ্ট্র এগিয়ে চলেছে এবং এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দেশীয় এবং ভিনদেশীয় সংস্কৃতির ধারক ও বাহকরা। এই এগিয়ে যাওয়ায় যারা শরীকদার তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করা এখন আমাদের (সরকারের) দায়িত্ব। ইদানিং সরকারের কিছু কিছু পদক্ষেপে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থার কর্মরত অথবা উদ্যোক্তাদের মনে কিছু বিষয় নিয়ে এখন দ্বিধাগ্রস্ত ভাব বিরাজমান। বিশেষ করে ফোন নম্বর মালিকানা রিনিউ’র (নবায়ন) এর বিষয়টি এখন বিব্রতকর পর্যায়ে। বিদেশী উদ্যোক্তারা এবং বিদেশী কর্মরত অভিজ্ঞরা এখন উৎকন্ঠায় এমনকি অসম্মানীত বোধ করছেন। বিশেষ করে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর টেলিফোন অপারেটরের সামনে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ফোন নম্বর নবায়ন করে নিতে হবে। এই সিদ্ধান্তটা একটু ভেবে দেখার বিষয় হলো উদ্যোক্তা এবং ওয়ার্ক পারমিটধারী নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়া লোকদের ক্ষেত্রে। কারণ ঐ লোকদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র ও ভিসা এবং কর্মানুমতিপত্র রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে প্রতি ছয়মাস পর পর স্বশরীরে উপস্থিত হওয়াটাকে তারা ভালো চোখে দেখছেন না।
এই ঝামেলা এড়াতে এখন অনেকেই সিম ট্রান্সফার করে বাঙালীদের নাম ব্যবহার করে ফোন ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। তাই সময় থাকতে এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিত। যাতে অপরাি ধদেরাও এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে পরিপূর্ণভাবে প্রমানহীন অপরাধ সংঘটনের সুযোগ রহিত করা যায়। পাশাপাশি আরেকটি বিষয় লক্ষনীয় যে, বিদেশী কর্মানূমতি প্রাপ্তদের নির্ভরশীলগণ (স্ত্রী, সন্তানরা) ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ভ্যারিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ভ্যারিফিকেশন প্রতি বছরই ভিসা নবায়নের সময় হয়ে থাকে। আর ভিসা ভ্যারিফিকেশণ রিপোর্ট ছাড়া কোন ভিসা দেয়া হয় না। এই ক্ষেত্রে ভ্যারিফিকেশন জটিলতায় অনেক ভিসা প্রত্যাসি হয়রানির শিকার হচ্ছে। কারো কারো ক্ষেত্রে দুই/তিন বার ভিসার আবেদন করতে হচ্ছে। কারো ইমার্জেন্সী প্রয়োজনে বিদেশ যাওয়া ব্যাহত হচ্ছে অথবা এক্সিট ভিসা নিয়ে যাচ্ছে আর দেশে ফিরছে ভূয়া ভিসা নিয়ে এবং এসেই আবার ভিসার আবেদন করতে হচ্ছে। এই বিষয়গুলি জটিল থেকে সহজ করার ব্যবস্থা আশু প্রয়োজন। যাদের ভিসা আবেদন করা আছে তারা বিদেশ গেলে আসা-যাওয়ার অনুমতি দেয়ার ব্যবস্থা করা হউক এমনকি একই আবেদনে ভিসার ব্যবস্থা করা হউক। নতুবা দেশের সুনাম এবং অগ্রগতির পথে নতুন অন্তরায় সৃষ্টি হচ্ছে এবং আরো হবে। তাই কর্তৃপক্ষ একটু দৃষ্টি দিয়ে এই সমস্যার সমান করে সমুজ্জ্বল বাংলাদেশকে আরো সমুজ্ঝ¦লে পরিণত করুন।
এবার আসা যাক এনজিও এবং এনবিআরে। এই দুইটি জায়গা যদি ঠিক করা যায় তাহলে বাংলাদেশের দুর্নাম করার সৎ নয় অসৎ সাহসও দেখানোর দু:সাহস কারো থাকবে না। তাই দয়া করে এনজিও ব্যুরোকে ঢেলে সাজিয়ে কাজে গতিশীলতা আনয়ন করুন। এনজিও বিষয়ক ব্যুরোকে উপহার / উপঢৌকন এমনকি উপরির হাত থেকে রক্ষা করুন। কারণ যারা এগুলো দিচ্ছে তারাই কিন্তু বদনামটা ছড়াচ্ছে। ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য বৃহৎ স্বার্থ জলাঞ্জলী দেয়া হচ্ছে। বিশাল অংকের টাকা বাংলাদেশে প্রবেশে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই দ্রুত ঐসকল ক্ষয়ূষ্ণু মানুষদের সরিয়ে নতুনদের দিয়ে এনজিও ব্যুরোকে সাজিয়ে ব্যবহার করুন। এনবিআর এর আমুল পরিবর্তন আনয়ন আশু ফরজে আইনে পরিণত হয়েছে। ট্যাক্স দিলেও উপরি দিতে হয়, ব্যক্তিগত টিন খুলতেও উপরি দিতে হয়, টেক্স ক্লিয়ারেন্স পেতেও উপরি দিতে হয়। টেক্স এবং রিটার্ন জমা দেয়ার পরে দায়মুক্তি পেতে বিশাল অংকের উপরি দিতে হয় নতুবা বিভিন্ন ছুতোয় ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানে নিরুৎসাহিত করা হয়।
এখন সময় নতুন করে সাজানোর এবং কর্মচঞ্চলতা বাড়ানোর এবং নিজেদেরকে স্বয়ৎসম্পন্ন করার। সকল অপবাদের উদ্ধে উঠে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার। তাই আমাদের প্রায়োগিক প্রাধান্যের ক্ষেত্রে এই সকল বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে কাজ করা জরুরী। তাহলেই সুন্দর থেকে সুন্দরতম অবস্থান আমাদেরকে তাড়িয়ে বেড়াবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত পরিশ্রম, আকাঙ্খা এবং অভিপ্রায় বাস্তবায়িত হবে আর ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে সুফল। আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি আইনটি যদি আরো সুস্পষ্ট করে দেয়া যায় তাহলেও নেতিবাচক কথার ফুলঝুড়ি থেকে রেহায় পাওয়া এমনকি উপযুক্ত বলে স্বীকৃতি অর্জন সহজ হবে। রাষ্ট্র, সরকার এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবার নিয়ে আইনটি হওয়া উচিত। আর এই লক্ষ্যে আমাদের অর্জনগুলোও সমৃদ্ধি হবে বলে আমার বিশ্বাস। সবই জ্ঞানী ও গুণী মানুষের চিন্তার ফসল আর ঐ ফসলের সঙ্গে আমাদের বাস্তবভিত্তিক ভাবনার যোগসূত্রই হবে আমাদের সমৃদ্ধি এবং লক্ষ্যে পৌঁছার হাতিয়ার। জয় হউক আমাদের একসঙ্গে পথচলায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.