প্রশান্তি ডেক্স॥ ভৈরবে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পাভেল রহমান (২৬) নামের এক যুবককে ধরে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা। গণধোলাইয়ের পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
গণধোলাইয়ের শিকার পাভেল রহমান কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানার আমুদপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। গত রোববার রাত ৮টার দিকে ভৈরব বাজার কাঠপট্টি এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি কুলিয়ারচরের আমুদপুর গ্রামে। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। এর আগে ১৩ মে কুলিয়ারচরের বাসায় ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে পাভেল রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন গৃহবধূর স্বামী। ওই মামলায় পাভেলকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায় পুলিশ। একমাস জেল খেটে আদালত থেকে জামিন নিয়ে আবারও ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় পাভেল। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে পাভেলের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ ও পাভেলের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। ঘটনাটি এলাকার মেম্বার-চেয়ারম্যানকে জানিয়ে সালিশ-দরবার হলেও কোনো কাজ হয়নি। গত ১৩ মে কুলিয়ারচরের ঘটনার পর ভৈরবের কাঠপট্টি এলাকায় বাসা ভাড়া নেন গৃহবধূর স্বামী। খোঁজ-খবর নিয়ে রোববার রাতে গৃহবধূর বাসায় গিয়ে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করলে জনতার হাতে ধরা পড়ে পাভেল। এ সময় তাকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পরে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে পাভেল রহমান জানায়, আমি তাকে (গৃহবধূকে) ছোটবেলা থেকেই ভালোবাসি। তাকে ধর্ষণের জন্য বাসায় যাইনি। তার সঙ্গে কথা বলতে বাসায় গিয়েছিলাম। ভালোবাসি বলতে গিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে থানায় কথা হয় পাভেলের বাবা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছেলের এমন ঘটনায় আমি বিব্রত। আমার মাথা নিচু করে দিয়েছে এই ছেলে। কি কারণে পাভেল এ ধরনের কাজ করছে আমি বুঝতে পারছি না।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, পাভেল লম্পট চরিত্রের যুবক। তার যন্ত্রণায় আমি কুলিয়ারচর ছেড়ে ভৈরবে বাসা ভাড়া নিয়েছি। স্ত্রীকে নিয়ে সুখে থাকতে চেয়েছি। ভালোবাসা তো দূরের কথা, আমার স্ত্রী তাকে কখনো পছন্দ করতো না।
ভৈরব থানা পুলিশের পরিদর্শক বাহালুল খাঁন বাহার বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন গৃহবধূর স্বামী। পাভেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি তদন্ত করে পাভেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।