তাজুল ইসলাম নয়ন॥ যতন দিন যাচ্ছে ততই বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ ও জাতি। আজ ৯ই ডিসেম্বর। যুদ্ধ জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। বিজয় অনিবার্য। যুদ্ধের শুরুতে সুশিক্ষিত পাক সেনাপতিরা ব্যঙ্গ করে বলেছিল, আমরা স্কাউটদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাচ্ছি! কিন্তু মাত্র ৯ মাসেই মুক্তিপাগল বাঙালি দামাল ছেলেদের অর্থাৎ তাদের ভাষায় স্কাউটদের কাছেই এমন মার খেতে হবে, মাথা নিচু করে দু’হাত তুলে প্রাণ বাঁচাতে আত্মসমর্পণ করতে হবে- এটা তাদের কল্পনাও ছিল না। বাস্তবে তাই হয়েছে। বিজয়ের পয়তাল্লিশ বছরে দেশের নতুন প্রজন্ম গভীর ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করছেন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।
একাত্তরের এদিন চারিদিকে শুধু পাক হানাদারদের পতনের খবর। ঢাকা থেকে পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর বেরোবার সবপথ বন্ধ। বন্ধ হয়ে যায় তাদের ঢাকায় প্রবেশের পথও। সর্বত্র মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযান। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ঢাকা দখল। বাংলার মুক্তিপাগল বীর বাঙালির কাছে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে প্রশিক্ষিত পাক সেনারা। মাত্র একদিন আগেই বেতারসহ বিমানে হাজার হাজার লিফলেট ছড়িয়ে পাক হানাদারদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায় মিত্রবাহিনী। মিত্র ও মুক্তিবাহিনী বীরদর্পে দেশের অধিকাংশ জেলায় বিজয় কেতন উড়িয়ে ঢাকা দখলের জন্য মরিয়া। একটাই লক্ষ্য হানাদার ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে চূড়ান্ত বিজয়। তাই চারিদিক থেকে ঘিরে ঢাকামুখি মিত্রবাহিনী।