কাশ্মীরি নেতারা জঙ্গি নন, তাদের মুক্তি দিন: মমতা

আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ অবশেষে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত  নিয়ে কোনো মন্তব্য না করতে চাইলেও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন পদ্ধতি নিয়ে। একই সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গ্রেপ্তার হওয়া কাশ্মীরের নেতা-নেত্রীদের নিয়ে। মমতা মঙ্গলবার বলেন, ‘তারা কেউ জঙ্গি নন, গণতন্ত্রের স্বার্থেই তাদের মুক্তি দেওয়া উচিত। ’সোমবার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি।momota speace kasmir রাজ্যসভায় অমিত শাহের এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন তৃণমূল সাংসদরা। অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, শুখেন্দু শেখর রায়রা। ফলে বিলের বিপক্ষেও ভোট দেননি দলের সাংসদরা। তবে এ নিয়ে সোমবার পর্যন্ত দলনেত্রীর কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।  বুধবার চেন্নাইয়ে ডিএমকে নেতা করুণানিধির মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার চেন্নাই যাওয়ার পথে দমদম বিমানবন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গতকাল থেকে যা ঘটছে, ভারতের বাকি নাগরিকদের মতো আমিও নজর রাখছিলাম। আমি বিশ্বাস করি কাশ্মীরের বাসিন্দারাও আমাদের ভাইবোন। আমি এই সিদ্ধান্তের বিষয়বস্তুর কথা বলছি না। কিন্তু আমি পদ্ধতির সঙ্গে একমত নই। আমরা ভোট দেয়নি, কারণ তাতে সংসদে রেকর্ড হয়ে থাকবে। কারণ সাংবিধানিক, আইনিগত এবং পদ্ধতিগতভাবে এটা প্রশংসনীয় নয়। এটা গণতান্ত্রিকভাবেও করা হয়নি। কীভাবে করা উচিত ছিল, তারও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে পারত। কাশ্মীরের লোকজনকেও ডাকা উচিত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে সবাইকে সহমতে এনে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত। কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। কিন্তু কখনও কখনও স্থায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। নিশ্চয়ই পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটি ছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.