প্রশান্তি ডেক্স॥ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুুর রহমানের সহধর্মিনী ও আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, নারী নেত্রী আইভি রহমানের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী গত শুক্রবার।
আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সদস্যরা কবর জিয়ারত করেন। তারা ফুল দিয়ে আইভি রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বিকেলে আসরের নামাজের পর গুলশানের আইভি কনকর্ড টাওয়ারে আইইভি রহমানের বাসায় পরিবারের পক্ষ থেকে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল সম্পœন করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমান গুরুতর আহত হন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৪ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ওই গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়। আহত হন কয়েক শত নেতাকর্মী। হামলার সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে মানব দেয়াল তৈরি করে রক্ষা করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তারপরও গ্রেনেডের বিকট শব্দে একটি কানের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
আইভি রহমানের পুরো নাম বেগম জেবুন্নেছা আইভি। ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব শহরের চন্ডিবের গ্রামের সম্ভান্ত পরিবারে তার জন্ম হয়। বাবার নাম জালাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ। মা হাসিনা বেগম ছিলেন গৃহিণী। আট বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে আইভি রহমান পঞ্চম ছিলেন। রাজনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও আইভি রহমান বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গেও পারিবারিকভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার একমাত্র ছেলে নাজমুল হাসান বর্তমানে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সাংসদ এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি। আইভি রহমানের দুই মেয়ে তানিয়া বাখ্ত ও তনিমা রহমান।
রাজনীতি ছাড়াও সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন আইভি রহমান। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভানেত্রী ও জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় মহিলা সংস্থা ও জাতীয় মহিলা সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন।