টিআইএন॥ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ই-প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশব্যাপী শিক্ষক প্রশিক্ষণের এটি প্রথম এবং নতুন একটি প্রয়াস। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এই ই-প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী দিনে ই-প্রশিক্ষণ কোর্সের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়, যাতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার। কর্মশালায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ইনস্ট্রাকটদেরকে ‘মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরি’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং মুক্তপাঠের মাধ্যমে অন্যান্য ই-প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ফ্যাসিলিটেটর ও মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, মুক্তপাঠের মাধ্যমে ই-প্রশিক্ষণ প্রদান করা হলে প্রশিক্ষণের সময়, ব্যয় ও যাতায়াত কমে যাবে এবং কম সময়ে সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণের আওতায় এনে শিক্ষার গুণগত মানন্নোয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী ইনস্ট্রাকদের কাছে মুক্তপাঠকে পরিচিত করা এবং ই-প্রশিক্ষণের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারাদেশ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা ইনস্টিটিটিউট (পিটিআই) এর ১০০ জন ইনস্ট্রাকটর উদ্বোধনী কর্মশালায় অংশ নেন। পর্যায়ক্রমে সব প্রশিক্ষক ও শিক্ষককে এর আওতায় আনা হবে।
উন্মুক্ত শিক্ষা উপকরণ, ই-লার্নিং, এম-লার্নিং, দূরশিক্ষণ ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে এটুআই-এর একটি উদ্যোগ হলো বাংলা ভাষায় ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ‘মুক্তপাঠ’। এ প্লাটফর্ম থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী কিংবা আগ্রহী যে কেউ যে কোনো স্থান থেকে অনলাইন কোর্সে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। এই প্ল্যাটফর্ম সাধারণ শিক্ষা, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও ‘মুক্তপাঠ’ প্ল্যাটফর্ম থেকে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।
শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে মুক্তপাঠ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে বলে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন।