অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে উচ্চ আদালতে লড়ছেন একদল নারী আইনজীবী

Untitled-2প্রশান্তি ডেক্স॥ ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম  ও তার টিমে রয়েছেন, অ্যাডভোকেট গুলশান জুবাইদা, ব্যারিস্টার মুনিজা কবির, ব্যারিস্টার ফারিয়া আহমেদ, গত বছর যতগুলো সিজারিয়ান হয়েছে তার ৭৭ শতাংশই চিকিৎসাগতভাবে অপ্রয়োজনীয় ছিল । সিজারিয়ানে সন্তান জন্মদানে রয়েছে নানা রকম ঝুঁকি। মা ও শিশু উভয়কেই এমন অস্ত্রোপচার ঝুঁকিতে ফেলে। এবং গর্ভবতী নারীর জন্য এটা একটা হুমকি স্বরুপ।  দেশে প্রসূতিদের অপ্রয়োজনীয় সিজারের হার নিয়ে সেভ দ্যা চিলড্রেনের প্রতিবেদনে যখন তোলপাড় চলছে, বিষয়টি নিয়ে যখন চিন্তায় পড়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সচেতন ব্যক্তিরা। ঠিক সেই মুহুর্তে অপ্রয়োজনীয় সিজার কার্যক্রম বন্ধ করতে আইনী লড়াইয়ে নেমেছেন একদল প্রতিশ্রুতিশীল উদ্যমী নারী আইনজীবী।  উচ্চ আদালতে এই আইনী লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জনস্বার্থে বিভিন্ন মামলা করে আলোচনায় আসা চৌকস আইনজীবী আয়েশা আক্তার ও নিলুফার ইয়াসমিন টুম্পার মত উদীয়মান মেধাবী আইনজীবীরা।  আইনী লড়াই চালিয়ে প্রয়োজন ছাড়া সিজার কার্যক্রম রোধ করতে আইনী কাঠামো দাঁড় করাতে চান। নারী ও শিশুদের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে চান তারা।  ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম ও তার টিমের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ইতিমধ্যেই হাইকোর্ট অপ্রয়োজনীয় সিজার কার্যক্রম বন্ধ করতে যুগান্তকারী আদেশ দিয়েছেন। আদালত প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম রোধে রোধে নীতিমালা তৈরি করতে এক মাসের মধ্যে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সংশিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও স্টেক হোল্ডারদের এই কমিটিতে রাখতে বলা হয়েছে। এ কমিটি ৬ মাসের মধ্যে নীতিমালা তৈরি করে আদালতে দাখিল করবেন।  এই মামলা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, অবশ্যই এটা একটা ঐতিহাসিক মামলা। অপ্রয়োজনীয় সি সেকশনে (সিজার) শুধু নারী ও শিশুদের ইফেক্ট করছে। এক্ষেত্রে আদালতের আদেশ নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় মাইলফলক। আদালতের এ আদেশে নারী ও শিশু এবং ফিউচার জেনারেশন যে উপকৃত হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।  তিনি আরো বলেন, এই অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান রোধ করতে আমরা একটি আইনী কাঠামো দাঁড় করাতে চাই। আমরা মনে করি আদালতের যুগান্তকারী আদেশ আইনী কাঠামো গঠনের প্রথম পদক্ষেপ। অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান রোধে আইনী কাঠামো দাঁড় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আইনী লড়াই চালিয়ে যাবো।  রিট ফাইলকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট গুলশান জুবাইদা বলেন, বাংলাদেশে আশাংকাজনক ভাবে সিজারের মাত্রা এত বেড়ে গেছে, আসলে যেকোন গর্ভবতী নারীর জন্য এটা একটা হুমকি স্বরুপ। মেডিকেল প্রয়োজন ছাড়া সিজার বন্ধে আমাদের প্রচেষ্টার প্রাথমিক ফল পেয়েছি। হাইকোর্ট যুগান্তকারী আদেশ দিয়েছেন। এই মামলার কারণে একটা প্রোপার গাইড লাইন পাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published.