এস কে কামাল সুমন॥ বিদেশীদের ভিসার প্রয়োজনে ধর্না দিতে হয় আমাদের বাংলাদেশের আগারগাঁওয়ের অংহকার বা বিভিষিকাময় পাসপোর্ট অফিসে। প্রতিদিন কতরকমের যন্ত্রনায় বাংলাদেশের উজ্জল ভাবমূর্তি হয়ে যাচ্ছে অনুজ্জ্বল। কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগ সাজসে বাংলাদেশের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরছে সাড়া পৃথিবীতে। অযোগ্য এবং অদক্ষ কর্মকর্তা এবং কর্মচারী দ্বারা এর বেশী আর কি আশা করা যায়। ঘুষের জন্য ঐ অফিসের বালূ কণাটিও হ্যা করে তাকিয়ে থাকে। আর শুধু তাই নয় হয়রানির কত রকমের রকম ফের আছে তা আজ লিখব না আগামী সংখ্যায় বিস্তারিত লিখব। আশা করি জড়িতদের নাম সহকারে লিখব। জানি এই লিখার মাধ্যমে হয়ত তেমন কোন ক্ষতি হবে না বা হতেও পারে। আমার একটি জায়গায় ভরসা আছে আর সেই ভরসা থেকেই এইবার শুধু সংশোধনের সুযোগ দিয়ে আক্কেল কে ইশারা এবং বেক্কেলকে ধাক্কা মারার ব্যবস্থা করছি। কিন্তু আগামী সংখ্যায় যখন ছাপা হবে তখন প্রয়োনীয় সংস্কার এর ব্যবস্থা করেই নিশ্চিত হব।
আমার দেখা কতক দেশপ্রেমীর ব্রিলীয়ান্ট মানব সেবী/ সেবক দায়িত্ব পালন করে গেছেন। যাদের মাধ্যমে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ভীত মজবুত হয়েছে। আগামীতেও এই মজবুত ভীতের ধারাবাহিকতাই আমরা কামনা করি। পাশাপাশি বলতে চাই এসবি অফিসে যে দেরীটুকু হয় তা কাম্য নয়। বিশেষ করে রিপোর্ট পাটাতে দীর্ঘায়ীত বা সময় ক্ষ্যপন এর মাধ্যমে বিদেশীদের দেশ ছাড়ে বাধ্য করা হয়। অথবা নতুন উদ্যোক্তাদের বা ব্যবসায়ীদের এইদেশে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়। এসবি অফিস এবং পাসপোর্ট অফিসের গাফিলতির স্বীকার হয় দেশী এবং বিদেশী উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী এবং বিদেশী এক্সপার্টগণ। এই যন্ত্রনার শিকার হয় এনজিও কর্মীগণও। পাসপোর্ট অফিস থেকে পুলিশ ভ্যরিফিকেশন করার জন্য এসবিকে নির্দেশ দেওয়া হলে তারা ভ্যারিফিকেশন করে রিপোর্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু সময় বিলম্ব হলে ভিসা প্রার্থীকে দেশ ছাড়তে হয় বা অল্প দিনের ভিসা নিয়ে আবার পুনরায় আবেদন করে সময় অর্থের অপচয় করতে হয়। এসবির রিপোর্ট দেরিতে আসলে কেন ভিসা প্রার্থীর হয়রানী হবে। পাসপোর্ট অফিস এবং এসবি উভয়েইতো সরকারের। এক দপ্তর অন্য দপ্তরকে মুল্যায়ন না করলে কিভাবে কাজের গতি আসবে বা সমুজ্জল ভাবমুর্তি গড়ে উঠবে। আগামী সংখ্যায় অফিসের নাম সহ কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ জলন্ত প্রমান উপস্থাপন করব। আশা করি এই সময়ের মধ্যে দুই অফিসের বোঝাপড়া এবং কাজের গতি স্বচ্ছভাবে সমুজ্জল ভাবমুর্তিসম্পন্ন হবে।