আন্তর্জাতিক ডেক্স ॥ ইন্দোনেশিয়ায় বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ককে নিষিদ্ধ করতে নতুন একটি প্রস্তাবিত আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। দেশটির সংসদের সামনে ছাড়াও অন্যান্য শহরেও এই আইনের বিুরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী, অধিকাংশ গর্ভপাত অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং প্রেসিডেন্টকে অবমাননাও অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রস্তাবিত বিলটি পাস হতে দেরি হলেও বিক্ষোভকারীরা মনে করছেন শেষ পর্যন্ত সংসদে বিলটি অনুমোদিত হতে পারে। বিতর্কিত বিলটিতে যা আছেবিয়ের আগে যৌনসম্পর্ক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং শাস্তি হিসেবে এক বছর পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে বিয়ে ছাড়া একসাথে বসবাসের ক্ষেত্রে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ডের শাস্তি প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ধর্ম, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় পতাকা বা জাতীয় সঙ্গীতের মতো প্রতীক অবমাননা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থা বা ধর্ষণের পরিস্থিতি না হলে গর্ভপাতের শাস্তি সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদন্ড প্রাথমিকভাবে মঙ্গলবার সংসদে এই বিলটির বিষয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো শুক্রবার পর্যন্ত ভোট স্থগিত করেন। তিনি বলেছেন, নতুন আইন বাস্তবায়নের আগে আরো বিবেচনা প্রয়োজন। বিলটি পাস হওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব হলেও দেশটির অনেক মানুষের আশঙ্কা সংসদে এই বিলটি পাস হতে পারে। আর কয়েকদিন আগে দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থার ক্ষমতা সীমিত করে আইন পাস করার ঘটনা নিও ক্ষোভ রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার মানুষের মধ্যে। ইন্দোনেশিয়ার অনেক শহরের রাস্তায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী নেমে আসেন, যাদের অনেকেই ছাত্র। মূল বিক্ষোভ হয় রাজধানী জাকার্তায়; বিক্ষোভকারীরা সংসদের স্পিকার বামবাং সোয়েসাতেয়োর সাথে দেখা করার দাবি জানান। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর ছুড়লে পুলিশ তাদের দিকে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভরত এক নারীর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা দেখা যায়, আমার দেহ কোনো সরকারের সম্পত্তি নয়। সুলাওয়েসি দ্বীপের ইয়োগিয়াকার্তা ও মাকাসাসহ আরো কয়েকটি জায়গায় দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলেছে। পশ্চিম জাভার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ বছর বয়সী ছাত্র ফুয়াদ ওয়াহইউদিন রয়টার্সকে বলেন, দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা দুর্নীতির বিরুদ্ধে নয় বরং দুর্নীতিবাজদের পক্ষে। এই নতুন আইনের বিরোধিতা করতে সংসদে যাব আমরা। জাকার্তায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিবিসি বাংলা।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post