প্রশান্তি ডেক্স ॥ গত বুধবার রাজধানীর বায়ুদূষণের দায়ে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাজধানীতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে ঢাকার প্রায় সব রাস্তায় একযোগে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। ফলে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় রাজধানীর সড়ক খুঁড়ে রেখে ধুলা সৃষ্টিকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যামণ আদালত। গত বুধবার বায়ুদূষণের দায়ে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যামণ আদালত। অভিযান চলাকালে বায়ুদূষণের দায়ে চলমান অভিযানে ঠিকাদারি দুই প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজিদ এবং বনানী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাকছুদুল ইসলাম। এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজিদ বলেন, রাজধানীর সড়ক খুঁড়ে রেখে ধুলা সৃষ্টিকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ রোধে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ কমিটি বায়ুদূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং আরও কী কী উপায়ে বায়ুদূষণ রোধ করা যায় সে ব্যাপারেও সুপারিশের আদেশ দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ঢাকা শহর ও আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ রোধে একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ এলাকায় অবৈধ ইটভাটা ১৫ দিনের মধ্যে বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই সঙ্গে রাজধানীর রাস্তা ও ফুটপাতে ধুলাবালু, ময়লা ও বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্ন্তবর্তীকালীন আদেশে ঢাকা শহরের যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার (রাস্তা ও নির্মাণাধীন কাজের জায়গা) কাজ চলছে, সেসব এলাকা ঘেরাও করে কাজের পদক্ষেপ নিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতের অন্তবর্তীকালীন এ আদেশ পালন করে এর দুই সপ্তাহের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিপ্তরের মহা-পরিচালককে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কারকাজ চলছে এবং যেসব এলাকায় ধুলাবালু বেশি, সেসব এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিনে দুবার পানি ছিটাতে দুই সিটির মেয়র ও নির্বাহীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ আদেশ অনুসারে বিবাদীরা হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। পরে এ নিয়ে দুই সিটির নির্বাহীকে তলব করে হাইকোর্ট। এসব কিছু বিবেচনা করে রাজধানীর সড়ক খুঁড়ে রেখে ধুলা সৃষ্টিকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় মাঠে নেমেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post