ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবায় দ্ইু বাংলার কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকালের সূর্য পত্রিকা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। প্রথম সাহিত্য বাসর ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ১০ জনকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ ও সুন্দর হাতের লেখার জন্য শিশুদের পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন; কবি ও টিভি ব্যক্তিত্ব শাশ্বতী ভট্টাচার্য (ভারত), কবি ও গবেষক শিশির দাশ গুপ্ত (ভারত), ড. মৃণাল কান্তি দেবনাথ (ভারত), সংস্কৃত গবেষক অধ্যাপক ড. অর্পণা নাথ (ভারত), কবি ও সংগঠক তপোব্রত মুখোপাধ্যায় (ভারত), মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক আবদুল কাইয়ুম (বাংলাদেশ), কবি ও গীতিকার আবদুল আওয়াল (বাংলাদেশ), কবি ও ছড়াকার এম আর মঞ্জু (বাংলাদেশ), কবি ও সাংবাদিক লোকমান হোসেন পলা (বাংলাদেশ) এবং কবি ও গবেষক এস.এম শাহনুর ।
পাক্ষিক সকালের সূর্য পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. সোলেমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম। সকালের সূর্য পত্রিকার বার্তা-সম্পাদক নেপাল চন্দ্র সাহা ও সার্কোলেশন ম্যানেজার মো. অলিউল্লাহ সরকার অতুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন; সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম আহবায়ক এম. জি হাক্কানী ও কসবা টি.আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ।
বক্তব্য রাখেন, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব ও সংগঠক এম. এইচ শাহআলম, কসবা প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কবি নাজমুল হক শিকদার, শ্যামবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন শিক্ষক ইসরাত রুনা, শিক্ষার্থী অজুফা সায়রা খান উদিতা, জান্নাতুন নাঈমা প্রাপ্তি ও পুলিন।
অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার ছিলেন, দৈনিক রূপসী বাংলা, দুরন্ত খবর, দৈনিক সরোদ, পাক্ষিক সালদা, মাসিক পূর্বাপর, বাংলা টিভি, বিজয় টিভি ও নবীনগর টিভি।
অনুষ্ঠানানে শিক্ষক, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিগণসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম বলেন, দুই বাংলার একই ভাষাভাষির মানুষ আমরা। আমাদের সমস্যাও অভিন্ন। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দু‘দেশের কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের মিলন মেলায় সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।