প্রশান্তি ডেক্স্। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বড়দিন উপলক্ষে বুধবার বঙ্গভবনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ধর্ম মানুষকে আলোর পথ দেখায় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ধর্ম অন্যায়, অবিচার ও অন্ধকারের পথ থেকে বিরত থাকতে শিক্ষা দেয়। প্রতিটি ধর্মের মূল বাণী ও শিক্ষা হচ্ছে মানবকল্যাণ। তিনি বলেন, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কেউ যাতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এবং যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করতে না পারে সে বিষয়ে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে। বড়দিন উপলক্ষে গত বুধবার বঙ্গভবনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। বড়দিন উপলক্ষে বঙ্গভবনের দরবার হলে কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি। অনুষ্ঠানে একটি সংগীত দল ক্রিসমাস ক্যারল পরিবেশন করে। এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুলস্নাহ উপস্থিত ছিলেন। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহামতি যিশু ছিলেন মানবজাতির মুক্তির দূত, আলোর দিশারি। বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে তিনি সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও খ্রিষ্ঠধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেছেন।’ ‘তিনি মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা দেন। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক।’-যোগ করেন রাষ্ট্রপতি। মো. আবদুল হামিদ ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং ২০২১ সালের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সাড়ম্বরে উদযাপনে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণসহ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বরোপ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, ডিপেস্নাম্যাটিক কোরের ডিন ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত জর্জ কোচেরি, আর্ল রবার্ট মিলার, যুক্তরাজ্যের ডেপুটি হাইকমিশনার কানবার হোসেন বোরসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে এ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post