করোনায় অরক্ষিত ঢাকা… প্রধানমন্ত্রীর আদেশ অমান্য

প্রশান্তি ডেক্স॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের হাত থেকে জাতিকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও নির্দেশনার অমান্য এখন যত্রতত্র। গত ৩০/১/২০২০ তারিখ রাত্র ১১.১০ গুয়াংজো থেকে আগত বিমানটি ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। পুরো বিমানটিতে বাংগালি শিক্ষার্থীরা আসেন এবং শুধু দুইজন চিনা নাগরিক ছিলেন ঐ বিমানে। চিনা ইমিগ্রেশন ভালোভাবে পরিক্ষা করে যাত্রীদের নিরাপত্তা ছাড়পত্রদিয়ে পাঠান কিন্তু বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই যাত্রীদের গ্রীণ চ্যানেল পার করে দেন।
কিন্তু কথা ছিল চিন থেকে আগত প্রত্যেককে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর গ্রীণচ্যানেল পার হতে হবে। যাদের সন্দেহ করা হবে বা রোগ সনাক্ত হবে তাদেরকে সরাসরি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাতে ভর্তি করা হবে। ছোয়াছে এই রোগের ভয়াবহতা থেকে মুক্তির জন্য এমনকি জাতিকে সুস্থ্য-সবল ও নিরাপদ নিশ্চয়তা দিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা। কিন্তু সেই ব্যবস্থায়-ই গলদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদেশ অমান্য করে কি তারা শাস্তির আওতায় পড়েনি। গত রাতে যারা ছিল ঐ সময়ের দায়িত্বরত তাদের দায়িত্বে গাফিলতির জন্য ব্যবস্থা নেয়া হউক। ভয়াবহ এই রোগের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করাই এখন সকলের দায়িত্ব। সেই ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের মত আতংক যেন আর জাতিকে স্পর্শ করতে না পারে সেইদিকে দৃষ্টি দেয়া জরুরী।


৩০/১/২০২০ রাতে আগতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, কোন পরিক্ষা এবং প্রশ্নের সম্মুখ্খিন ছাড়াই তারা গ্রীণ চ্যানেল পাড় হয়ে আসছে। তারা এমন কথাও বলেছে যে, পত্রিকায় পড়েছিলাম যে, বাংলাদেশ সরকার সতর্ক এবং এয়ারপোর্টে চেকাপ এর ব্যবস্থা করেছে কিন্তু এখন দেখি সবই ফাকা বুলি। শুনতে খারাপ লাগলেও বলতে আমার খারাপ লাগেনি। কারণ এরই মধ্যেই বড় হয়ে উঠছি আর অনেক আশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
এই রোগের ভয়াবহত এমনই যে, চিন সরকার সকলের চলাফেরা এমনকি ঘর থেকে বের হওয়া একেবারে নিষেধ করে দিয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া যেন কেউ বাইরে না যায় এমনকি স্কুল-কলেজসহ যাবতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস অনিদিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে। প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহের জন্য সাহায্যকারী নিয়োগ করা হয়েছে এবং খুবই অল্প সময় তারা নিরাপত্তা বলয়ে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। এককথায় স্তদ্ধ ও হতভম্ব হয়ে পড়েছে সমগ্র চীন। এমন অবস্থায় যারা ফিরে আসছে তারা তাদের জীবনের রিক্স নিয়েই আসছে আর যারা আসতে পারেনি তারা সেখানেই বদ্ধ পরিবেশে বন্দি জীবন যাপন করছে। যারা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে এবং যারা ভবিষ্যতে হবে তাদের সকলের চিকিৎসার খরচ চীন সরকার বহন করবে। আর যারা চিন দেশ ছেড়ে নিজ নিজ দেশে চলে আসছে বা আসার চেষ্টা করছে তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব চিন সরকার নিবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে। আল্লাহ সহায়ন হউন। উহান বা উহানে প্রদেশ থেকে উৎপত্তি হয়েছে এই ভাইরাস। আর ঐ এলাকার বাসিন্দারা কোনভাবেই বের হতে পারবে না; যতক্ষণ না রোগের প্রতিকার বা প্রতিষেধক আবিস্কার অথবা রোগ নিয়ন্ত্রনে আসবে ততক্ষন অবরুদ্ধ অবস্থায় ঐ অঞ্চল থাকবে। খোদা তায়ালা তুমি রক্ষা কর তোমার সকল সৃষ্টিকে। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.