অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো আইন করিনি…অর্থমন্ত্রী

প্রশান্তি ডেক্স॥ উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমার বাধ্যবাধকতা তৈরিতে বিলটি (আইন) কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে বা অশুভ কার্যসম্পাদনে পাস করা হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রতিষ্ঠানগুলোতে আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই এ বিল পাস করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো অসৎ উদ্দেশ্য বা অশুভ কার্যসম্পাদনের জন্য বিলটি পাস করিনি। আমরা করেছি সততা নিয়ে, সেটি হচ্ছে একটি ফিন্যান্সিয়াল ডিসিপ্লিনের জন্য। টাকা দেয়ার সময় সরকার দেবে আর খরচ করার সময় আমি নিজে- এটা হওয়া উচিত নয়। সরকারকে অবহিত করে সে কাজ করতে হবে।’
‘সেজন্য প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানই যা সরকার থেকে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তারা নিজেরা নিজেদের ম্যানেজমেন্ট করে তবে তাদের জবাবদিহিতা দরকার। আইনটি যথাযথভাবে করা হয়েছে এবং এটি অর্থনীতিতে ডেফিনেটলি অর্থবহ ভূমিকা পালন করবে।’
টাকাটা নিয়ে ভয়টা কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, হয়তো তারা বুঝতে পারিনি, আমি দেখলাম যে সংসদে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ঠিক ছিল তারা মনের আনন্দে কেউ কেউ বলছে আরও যেসব প্রতিষ্ঠান এ আইনের বাইরে রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানকেও এর আওতায় আনতে হবে। কিন্তু পরে আবার তারাই বিরোধিতা শুরু করলো।
তিনি বলেন, ‘সরকার ২৫ শতাংশ নিলে বাকি ৭৫ শতাংশ তো তাদের থাকবে। অতিরিক্ত টাকা রেভিনিউ ক্যাপিটাল খরচ বাদ দিয়ে ২৫ শতাংশ রেখে ব্যালেন্সটা রেখে দেবে। এটা হলো একটা জবাবদিহিতার ব্যাপার, টাকার জন্য না টাকার চেয়ে বড় হলো আবারও বলি ফিন্যান্সিয়াল ডিসিপ্লিন।’
প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকে টাকা রেখেছে, সেই টাকা ট্রেজারিতে নিলে তারল্য সংকট হবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকে সারপ্লাস ফান্ড অনেক বেশি, এটি থাকলেও লস। যে পরিমাণ টাকা থাকা উচিত সে পরিমাণ থাকা ভালো। ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ করতে পারে এটি নিয়ম আছে। আমি আবারও বলব বিষয়টি হচ্ছে আর্থিক শৃঙ্খলা এখাতে নিয়ে আসা, এছাড়া বাইরে কোনো উদ্দেশ্য নেই।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর কাছে সর্বশেষ তথ্য মতে এক লাখ ১৬ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা অলস টাকা বা সারপ্লাস মানি আছে।’
সরকার কত টাকা ট্রেজারিতে নিতে পারে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হিসাব করিনি, প্রতিদিন পরিবর্তন হয়। তারা জাননোর পর সরকারি কোষাগারে জমা দেবে। সরকার এ টাকা ট্রেজারি বা ব্যাংকে কোথায় রাখবে তা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে স্বশাসিত সংস্থার উদ্বৃত্ত অর্থ কোষাগারে নিতে বিল পাস হয়। যদিও জাতীয় পার্টি-বিএনপি সদস্যরা এ বিলের বিপক্ষে ভোট দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.