প্রশান্তি ডেক্স॥ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বৃষ্টি হানায় একবার ম্যাচ থমকে গেলে। সিলেটের আকাশ দেখে মনে হচ্ছিল অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির শেষ ম্যাচটি বুঝি ভেসেই গেল! কিন্ত না। মেঘদূত কৃপা দেখিয়ে চলে গেলেন মেঘালয়ের ওপাশে। আর তাতে ম্যাচ মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনাও উঁকি দিল। মাঠ শুকিয়ে যেতেই খেলা শুরু হলো অমনি ব্যাট হাতে ছক্কা-বৃষ্টি শুরু করে দিলেন দুই টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ওপেনিং জুটি খেললেন ২৯২ রানের মহাকব্যিক এক ইনিংস। বা তাদের দেশের ক্রিকেটের সীমানা পেরিয়ে নিয়ে গেল বিশ্বসেরা রেকর্ডের কাতারে।
দেশের ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা জুটির পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড করা তামিম-লিটন বিশ্ব ক্রিকেটের তৃতীয় সেরা উদ্বোধনী জুটি। তাদের আগে তিনশ পেরনো জুটি আছে মাত্র দুটি। গেল বছর আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে স্বাগতিক আইরিশদের বিপক্ষে উইন্ডিজ ওপেনার শেই হোপ ও জন ক্যাম্পবেল জুটি বোর্ডে তুলেছিলেন ৩৬৫ রান। যা কিনা বিশ্ব ক্রিকেটে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ।
আর দ্বিতীয় সেরা জুটি গড়েছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম উল হক ও ফখর জামান। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে পাকিস্তানের এই দুই ওপেনার তুলেছিলেন ৩০৪ রান।
গত শুক্রবার (৬ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে লাল সবুজের জার্সি গায়ে ২১ বছর আগে মেহরাব হোসেন অপি ও শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুতের ওপেনিং জুটিতে ১৭০ রানের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন লিটন-তামিম। এখানেই থামেননি। দুইশ রানের গন্ডি পেরিয়ে ব্যাট ছুটিয়েছেন তিনশোর দিকে। সেটা অবশ্য হয়নি। ৪১তম ওভারে মুম্বার বলে লং অনে সিকান্দার রাজার তালুবন্দি হলে ২৯২ রানে থেমে যায় ওপেনিং জুটি। ফেরার আগে লিটন দাস ১৪৩ বলে খেলেছেন ১৭৬ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস।
এটাও রেকর্ড। সে যে সে নয়, একেবারে দেশ সেরা। কেননা বাংলাদেশের হয়ে আর কেউই এক ইনিংসে এত বেশি রান করতে পারেননি। ওহ! বলে রাখছি এই ২৯২ রান ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের যে কোনো উইকেট জুটিতে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। আর ক্রিকেটের ইতিহাসে ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ রানের জুটিও লিটন-তামিমের এই জুটি।
আগের জুটিটি ছিল ২২৪ রানের। ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেছিলেন এই রেকর্ডটি।