প্রশান্তি ডেক্স ॥ নারায়ণগঞ্জের কাশীপুরের ছোট আমবাগান এলাকায় ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয়রা। গত বুধবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে তাদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। বিক্ষোভরত এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে পুরো শহর লকডাউন করায় কর্মহীন দিনমজুর মানুষেরা কয়েকদিন যাবত ঘরবন্দী জীবনযাপন করছেন। কাজ না থাকায় অর্থাভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-দ্রব্যও কিনতে পারছেন না তারা। এরইমধ্যে স্থানীয় মেম্বার ও জনপ্রতিনিধিদের নাম করে তাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কাডের ফটোকপি নেওয়া হয়েছে ত্রাণ দেওয়া হবে বলে। বুধবার সকালে সেসব ফিরিয়ে দেওয়া হলেও কোনো ত্রাণ দেওয়া হয়নি। এতেই ক্ষেপে যান যারা। তাই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন নিন্ম আয়ের এসব মানুষজন। কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৭৫ হাজার ভোটার রয়েছে। এলাকার দুই-তৃতীয়াংশ মানুষই শ্রমিক ও দিনমজুর শ্রেণির। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের এই এলাকার ১২ হাজার দরিদ্র পরিবারের তালিকা করা হয়েছিল। কিন্তু ত্রাণ এসেছে মাত্র এক হাজার দশ পরিবারের। বাকিদের জন্য আদৌ কোনো ব্যবস্থা আছে কি না এ ব্যাপারেও কিছু বলতে পারছেন না স্থানীয় চেয়ারম্যান। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ৭ হাজার ৫০০ পরিবারের জন্য ৭৫ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা ও নগদ ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে নারায়ণগঞ্জ। এরপর কয়েক দফায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে এ পর্যন্ত ২৭ লাখ টাকা ও ৬০০ মেট্রিক টন চাল উপবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেসরকারিভাবে ৩ হাজার ৩৭৭ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা এবং চেকের মাধ্যমে ২১ লাখ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা পেয়েছে জেলা প্রশাসন। এমনকি জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দীন বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল গরীব-দুঃস্থ পরিবারগুলোকে সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে ত্রাণ বরাদ্দ কম এসেছে জানিয়ে কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. বাহাউদ্দিন বলেন, ১২ হাজার পরিবারের লিস্ট করছি, ত্রাণ আসছে ১৫০০ পরিবারের। আগামি শুক্র-শনিবারের মধ্যে আরও ৫০০ মতো পামু। ওগুলা তখন আমরা দিয়া দিব। আমরা এমন করেই পাচ্ছি তাই এরকম করেই দিচ্ছি। এখন সরকার যদি এভাবে দেয় আপনি বলেন এখন আমরা কি করবো? ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল বলেন, আমরা যে তালিকা তৈরি করে দিয়েছি সে অনুযায়ী খাবার খুব কম আসছে। বিষয়টি আমরা জানিয়েছি। তারা শীঘ্রই পাঠাবে বলে আমাদের জানিয়েছে। একটা কথা শুধু বলতে পারি কেউ বাদ পড়বে না। জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সব মানুষ ত্রাণ পাবে। তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিব।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post