ভজন শংকর আচার্য্য ,কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গ নিয়ে শরীফুল ইসলাম রনি (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শরীফুল ইসলাম রনি উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের মৃত আলী আজমের পুত্র। সে পাশ্ববর্তী গ্রাম বাদৈর সাবের সাদক পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলো । করোনা উপসর্গ ছিলো কিনা এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকজন এসে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। গ্রামটিকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, শরীফুল ইসলাম রনি ছোটকাল থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ছিলো। গত কয়েকদিন যাবত শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভ’গছিলো । গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পরে তাকে তার পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরিবারের ধারনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার সময় পথেই তার মৃত্যু হয়। শ্বাসকষ্ট জনিত মৃত্যু হওয়ায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে মনে করে স্থানীয়দের মাঝে আতংত বাড়তে থাকে। পরে স্থানীয়রা উপজেলা প্রাশসন,উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সহ বিভিন্ন দপ্তরে বিষয়টি অবহিত করলে রাত ৮টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র ডাঃ অনিক ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল তার বাড়িতে এসে রনিসহ পরিবারের লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। পরে সাড়ে ১০ টায় উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট মো.রাশেদুল কাওসার ভ’ইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন আসেন ওই গ্রামে এবং রাতেই তাকে দাফন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। রাত ১১ টায় গ্রামটিকে লক ডাউন করার ঘোষনা দেন উপজেলা প্রশাসন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম বলেন, স্থানীয়ভাবে জানা গেছে শরীফুল ইসলাম রনি শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। খবর পাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে নিহতের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনার পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত বাড়ি এবং গ্রামটিকে লকডাউন করা হয়েছে। ফলাফল নেগেটিভ আসলে লকডাউন থাকবেনা।