ফাহাদ বিন হাফিজ, প্রধান প্রতিবেদক॥ একক দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্টের পরে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক রপ্তানীর দ্বিতীয় বৃহৎ বাজার জার্মানী। বাংলাদেশী তৈরী পোশাকের গুণগত মান ও প্রতিযোগিতামুলক দামের কারণে ভবিষ্যতে জার্মানীতে পোশাক রপ্তানী ক্রমান্বয়ে বৃব্ধি পাবে বলেছেন জার্মান ব্যবসায়ীরা। গত বৃহস্প্রতিবার জার্মানীর ফ্রাঙ্কফুটে অনুষ্ঠিত হেইমটেক্সিল মেলায় এক প্রেস কনফারেন্সে জার্মানীর কনফেডারেশন অব দ্যা জার্মান টেক্সটাইল ও ফ্যাশন ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মানফ্রেড জাঙ্কার্ট বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে জার্মানী বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত রপ্তানীসহ বিভিন্ন বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেয়া অব্যাহত রাখবে।
এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো’র সূত্রমতে, জার্মানীতে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ৪.৬৫ বিলিয়ন ডলার, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে ৪.৩৩ বিলিয়ন ডলার ও ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে ৪.৩৭ ডলার মুল্যের পোশাক রপ্তানী করেছে বাংলাদেশে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছরও জার্মানীতে পোশাক রপ্তানী আয় ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ট্রেড ব্লক হিসেবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বর্তমানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানীর সর্ববৃহৎ বাজারে পরিণত হয়েছে।
ব্রেক্সিট সম্পর্কে জাঙ্কার্ট বলেন, যুক্তরাজ্য জার্মানীর বড় ব্যবসায়িক পার্টনার। যদি যুক্তরাজ্য আমাদের বাদ দেয় তাহলে জার্মানীতে এর বিরুপ প্রভাব পড়বে। ব্রেক্সিট কার্যকর হতে হয়তো আরও সময় লাগবে কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রি এর চরম ভূক্তিভোগী হবে। ইপিবির তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানীর পরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানীর তৃতীয় বুহৎ বাজার যুক্তরাজ্য। যেখানে প্রতি বছর প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার মুল্যের পোশাক রপ্তানী করে বাংলাদেশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে বাংলাদেশ প্রায় ১৭.৫০ বিলিয়ন ডলার, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে প্রায় ১৫.৩৬ বিলিয়ন ডলার ও ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে ১৪.৭৫ বিলিয়ন ডলার মুল্যের পোশাক রপ্তানী করেছে।
প্রেস কনফারেন্সে জার্মানীর সর্ববৃহত মেলা আয়োজক প্রতিষ্ঠান টেক্সটাইল এন্ড টেক্সটাইল টেকনোলজিস ইউনিট অব দ্যা মেসে ফ্রাঙ্কফুট এর সহসভাপতি ওলাফ স্মীথ জানান, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে হোস্টিং ফেয়ার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।