অন্যরকম এক ঈদের স্বাদ পেতে যাচ্ছে মুসলিম বিশ্ব

তাজুল ইসলাম॥ বিশ্বের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মাঝেই বিশ্বে মুসলীম সাম্ম্রাজ্যে আভির্ভূত হতে যাচ্ছে ঈদুল ফিতরের আনন্দ। তবে এবার এই আনন্দে এক অন্যরকম স্বাদ ও গন্ধের আশংকায় নিমজ্বিত হচ্চে বিশ্ব। ঘরবন্দী জীবনে মানুষ অন্যরকম এক ঈদ আনন্দ উপভোগ করার দ্বারপ্রান্তে। যদি আজ চাঁদ দেখা যায় তাহলে কাল ঈদ; আর যদি না দেখা যায় তাহলে আগামী পরশু সোমবার ঈদ। তবে আগামীকাল সৌদি আরবে ঈদ উদযাপিত হবে যা একই স্বাদ ও গন্ধের। পৃথিবীর সকল প্রান্তেই এই ঈদের আনন্দ ম্লান হতে চলেছে শয়তানের থাবায়। অদৃশ্য শয়তান করোনাকে বিতারিত না করা পর্যন্ত মানুষের কোন নিস্তার নেই।
ঈদের ব্যবসা প্রায় সবই বন্দ; (গাড়ি, বাড়ি, কাপড়-চোপর, খোশবু, নতুন নতুন বাহারি খাবার সবই যেন একটু থমকে কোথায় যেন আটকে আছে। নেই বাহারী সেমাই এর রূপসজ্জ্বাসহ নানান মুখরোচক খাবারের বাহার। সবই ছিল এবং আছে কিন্তু সেই মানুষ এবং মানষিক স্বস্তিটুকুই নেই। তাই সবকিছু থেকেই বঞ্চিত হতে যাচ্ছে ঈদের দীর্ঘদিনের চলে আসা সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধনের আনুষ্ঠানিকতাগুলো। তবে এই ঈদের ত্যাগই যেন হয় মানুষের কল্যাণের তরে আরেকটি দিগন্ত।
ঈদের নামাজের মাঝেও যেন যুক্ত হয়েছে নানাহ জটিলতা। প্রথমেই সামাজিক দুরুত্ব এবং মোলাকাত ও কোলাকোলি একেবারেই বন্ধ। কথা ও শব্দচয়নে মুখোশাবৃত্ত অচেনা এক সংস্কৃতি। চেনা মানুষজনও অচেনায় পরিণত হয়। কেউ আবার পালগরূপেও প্রকাশ পায়। সবই যেন করোনার বাহারী নান্দনিকত ও ছান্দনিক উপকরণ মাত্র।
আসছে ঈদে মানুষ ফিরে আসুক মানব সভ্যাতার সর্বোচ্চ শিখরে। ঘৃণা, ক্রোধ এবং হিংসা বিদ্দেষ থেকে বের হয়ে আসুক। ভয়ের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে খোদায়ী রাজ্যের নির্ভয়ের সংস্কৃতিতে বিরাজমান থাকুক। খোদায়ী শক্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে সকল ভয়কে জয় করে পৃথিবীকে শান্তি, আনন্দ ও স্থীতিশীলতায় পরিপূর্ণ করুক। এই হউক আমাদের সকল মানুষের কামনা এবং চাওয়া-পাওয়া। করোনায় আমরা যা হারিয়েছি তা ফিরিয়ে পেতে বা পুনরুদ্ধার করতে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। খোদার সান্নিদ্ধের কোন বিকল্প নেই। সততার কোন বিকল্প নেই, মমতার কোন বিকল্প নেই, ক্ষমার কোন বিকল্প নেই, তৌবা এবং গুনা শ্বিকারের কোন বিকল্প নেই, তাই সকলে মিলে খোদার ইচ্ছার কাছে সমর্পন করি এবং সুস্থ্য-সবল ঈমানী ব্যবস্থা কায়েমে সচেষ্ট হই। সবাইকে ঈদ মোবারক॥

Leave a Reply

Your email address will not be published.