প্রশান্তি ডেক্স ॥ ‘আমার দলের ভেতরেই একটি চক্র গুজব ছড়িয়ে, মিথ্যাচার করে আমাকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু সত্য কোন সময় চাপা থাকে না, সুর্য্যরে আলোর মতো গণগণ করে উঠবেই এবং উঠেছে। গুজবকারিদের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতেই অ্যান্টিবডি পজিটিভ থাকার পরও আমাকে প্রাতিষ্ঠানিক কয়োরেন্টিনে রাখা হয়েছে। কিন্তু কি উদ্দেশ্যে, কাদের কথা শুনে আমাকে এভাবে আটকে রাখার মতো অবস্থা সৃষ্টি করেছে আমি বুঝতে পারছি না। তবে আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার কান পর্যন্ত এইসব গুজব আর মিথ্যাচারের বিষয়গুলো পৌছালে এক মুহুর্তও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে না রেখে, মানুষের সেবার জন্য পাঠিয়ে দিতেন। উনার কাছে সত্য তথ্যটা পৌছানো হচ্ছে না।’ এভাবেই কথাগুলো বললেন নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসা করোনা চিকিৎসক ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার।
গত রবিবার বিকালে বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের বিমান বন্দরে পৌছারোর পরপরই তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকারের অভিযোগ- অ্যান্টিবডি পজিটিভ থাকার পরও তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে আসা ১২৮ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। একই দেশের যাত্রী, একই দেশে আসা। সবার ক্ষেত্রে এক নিয়ম আর তার ক্ষেত্রে ভিন্ন।
ফেরদৌস খন্দকার বলেন, আদরের সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের ফেলে রেখে কেন আমি বাংলাদেশে এসেছি? এসেছি বাংলার মানুষের পাশে থাকতে। করোনা থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে আমার নেত্রী রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে, ঠিক আমিও চেয়েছি নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে, করোনাকালে আমার অবস্থান থেকে একটু হলেও মানুষের সহযোগীতা করতে। কিন্তু দেশে আসার পর দেখলাম আমাকে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আত্মীয় স্বজন বানিয়ে ফেললো! তারেক জিয়ার ডোনার আর ছাত্রদলের ক্যাডার বানিয়ে ফেললো। যা পুরোপুরি অসত্য এবং মিথ্যা গুজব। কেন এইসব গুজব ছড়িয়ে দেয়া হলো? আমার বাংলাদেশে আসার খবরটি কারা মেনে নিতে চাচ্ছে না? তারা কেন চায় না আমি করোনা আক্রান্ত মানুষের সেবা করে যাই বুঝতে পারছি না। তবে সত্য কোন সময় চাপা থাকে না, সত্য বেড়িয়ে আসছে।
ডাক্তার ফেরদৌস দু:খ করে বলেন,‘ দেখুন আমার কাছে এখন একেকটি সেকেন্ড খুবই মূল্যবান। ১৪ দিন মাঠে কাজ করতে পারলে অনেক রোগীদের সেবা দিতে পারবো, মানুষের জন্য কাজ করতে পারতাম। কিন্তু আমি একজন চিকিৎসক, মানুষের সেবা দিয়ে আমি অভ্যস্ত, এখানে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমার সময়গুলো নষ্ট করবেন না, প্লিজ আমাকে মানুষের সেবা করতে দিন।