প্রশান্তি ডেক্স ॥ ‘গার্মেন্ট আসলো, ঈদ আসলো, বাজার করল, ঈদে যাওয়া-আসা করল। এক লাফে ৫০ হাজার হয়ে গেল। সব সময় বলছি, সংক্রমণের চেইনটা যদি কাট করতে না পারি তাহলে সেটা কিন্তু বন্ধ হবে না। এভাবে চলতে থাকলে আরও ৬০-৭০ হাজার নতুন অ্যাড হয়ে যাবে। তখন কোনও হাসপাতালে আমরা জায়গা দিতে পারব না। কারণ এত রোগী এসে যাবে তাদের ১০ পারসেন্টেরও যদি হসপিটালাইজেশন লাগে তাহলে পরে আপনারা দেখেন ৭০-৮০ হাজার লোকের আবার নতুন করে জায়গা দিতে হবে। আমাদের সে জায়গা আছে কি? এটা হলো দেখার বিষয়।’
করোনাভাইরাসের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার (৬ জুন) ‘বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিক’ এর পঞ্চম পর্ব ‘করোনা সংকটকালে স্বাস্থ্যসেবা’ শিরোনামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, আমরা যদি দেখি, আক্রান্তদের ৮০ ভাগ হলো ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের। ল্যান্ডমাস বিবেচনা করলে কিন্তু ৫০ পারসেন্ট আক্রান্ত হয় নাই। কিন্তু আমরা দেখছি, গার্মেন্ট বা ঈদযাত্রায় মুভমেন্ট বাড়লে আক্রান্ত বেড়ে যাচ্ছে। মুভমেন্ট কমিয়ে দিলে আক্রান্ত কমে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটা কিছু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আমাদের পরামর্শক কমিটি রয়েছে, আমাদের জাতীয় কমিটিতেও বেশ কিছু মন্ত্রণালয় রয়েছে। তাদের সবার প্রোপজাল অনুযায়ী কাজ করলে ভালো হবে মনে করি। আমরা ফরম্যাটিভ স্টেজে আছি, তাই কিছু বলছি না। তবে আমাদের সায়েন্টিফিক্যালি, প্ল্যান মাফিক বেরিয়ে আসতে হবে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের পর অন্যান্য জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তার প্রভাব কৃষিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, আক্রান্তের সংখ্যা যদি কম রাখতে না পারি তাহলে কিন্তু অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। এখন আমাদের কৃষি খুব ভালো আছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা যদি অন্য জেলায় বাড়তে থাকে তাহলে কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাহলে সেটা হয়ে যাবে মারাত্মক। এখানে খাওয়া-দাওয়ার অভাব দেখা দেবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি জেলার খবর আমার কাছে আছে। বাড়ছে কীভাবে সব সময় দেখেছি। যখনই লোক গেছে ওখানে সংক্রমিত করে তারা ঢাকায় চলে আসলো।
এছাড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে যদি কোনও বেসরকারি হাসপাতাল রোগীদের সেবা দিতে না চায় তাহলে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও অনুষ্ঠানে হুঁশিয়ারি দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।