ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় করোনা পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল দেওয়ার ১০দিন পর আসলো ফলাফল। গত (১২ জুন) শুক্রবার এ ফলাফলে নতুন করে ২৭জন করোনা আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত হয়েছে। স্যাম্পল দেওয়ার ১০ দিন পর পজেটিভ রিপোর্ট আসলো তাদের। দেরীতে ফলাফল পাওয়ায় স্যাম্পলদাতাদের সংস্পর্শে করোনা রোগীর সংখ্যা এই উপজেলায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নিয়ে কসবা উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬৪জন। এতে করে জনমনে বাড়ছে আতংক। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলায় গত ১৬ মে করোনা রোগী প্রথম সনাক্ত হয়। করোনা পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের স্যাম্পল নেওয়া হয়। গত ১২ জুন শুক্রবার আসে ৩ জুন তারিখের পাঠানো পরীক্ষার ফলাফল । এতে করে উপজেলায় নতুন করে ২৭জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় আক্রন্তের সংখ্যা দাড়ালো ৬৪জনে।
এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৬জন। ১০দিন পর ফলাফল আসায় রোগীরা সাধারণ লোকজন তথা বাড়ির লোকজনের সংস্পর্শে থাকায় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের উদাসিনতায় দেরিতে ফলাফল আসায় এবং স্যাম্পলদাতাদের কোয়ারেন্টিনের থাকার পরামর্শজনিত অলসতার কারনে রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। উপজেলার এক নারী কর্মকর্তা বলেন, ৩ জুন তিনি সহ তাঁর স্বামী করোনা পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল দিয়েছিলেন। তিন দিন আগে ৪ জুন তারিখের স্যাম্পলের ফলাফল আসে। ১০দিন পর গত শুক্রবার আসে ৩ জুন তারিখের ফলাফল । এতে তাঁর পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলেও স্বামীর এসেছে পজেটিভ। ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরাতো মনে করেছি সবার নেগেটিভ। পরিবারের সবাই পুরোপুরি সুস্থ আছি। এখন স্বামীর পজেটিভ রিপোর্ট আসায় পরিবারের সবাই চিন্তিত। কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সোলেমান খান বলেন, তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজের বাসাই আলাদা আইসোলেশন করে চিকিৎসাধীন রযেছেন। তিনি শারীরিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন। গত ৭ জুন দ্বিতীয় পরীক্ষার জন্য স্যা¤পল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত শুক্রবার পর্যন্ত কোন রিপোর্ট আসেনি। শুধু জুন মাসের ৩ তারিখের ফলাফল এসেছে তাও ১২ জুন। এভাবে পরের রিপোর্ট আগে এবং আগের রিপোর্ট পরে আসলে করোনা বিস্তার ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে। দীর্ঘদিন পর ফলাফল আসায় রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছ্।ে দ্রুত ফলাফল আসলে রোগীর সংখ্যা কমে আসবে। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মামুনুর রহমান বলেন, গত ৩ জুন স্যাম্পল পাঠিয়েছি। ফলাফল এসেছে ১০দিন পর। সরকারি ভাবে সবকিছু হয়েছে এতে আমার কিছুই করার নেই। এটি সরকারি নীতি নির্ধারকদের বিষয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো. ইকরাম উল্লাহ বলেন, ঢাকা থেকে করোনা পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে অনেকগুলি জমা পড়ে আছে। তাছাড়া দুটি ল্যাব থেকে করোনা পরীক্ষা করা হয়। এ কারনে করোনার পরীক্ষার ফলাফল আগে পড়ে আসে। তবে যাদের করোনা পরীক্ষার স্যাম্পল নেওয়া হয়, তাদের প্রত্যেককে জনসাধারণ থেকে দূরে থাকার জন্য বলা হয়ে থাকে।