প্রশান্তি ডেক্স॥ করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া কৃষক হোসেন মিয়ার (৫৫) মরদেহ নিজ ঘরে পড়েছিল পাঁচ ঘণ্টা। ভয়ে মরদেহ দাফনে এগিয়ে আসেননি কেউই। এতে করে মরদেহ নিয়ে বিপাকে পড়েন মৃতের পরিবারের লোকজন। কোথায়-কীভাবে মরদেহ দাফন করা হবে- সেটি নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চিয়তা। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের।
মর্মান্তিক এ ঘটনার খবর জানতে পেরে মরদেহ দাফনে এগিয়ে আসেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন। এরপর ধর্মীয় সব রীতি মেনে দাফন করা হয় কৃষক হোসেন মিয়ার মরদেহ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন নয়নপুর গ্রামের কোনাঘাটা এলাকার কৃষক হোসেন মিয়া। গত বুধবার তার নমুনাী সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরে শুক্রবার (২৬ জুন) সকাল ৯টার দিকে বাড়িতেই মারা যান হোসেন মিয়া। কিন্তু তার মরদেহ দাফনে পরিবারের লোকজনদের সাহায্যে গ্রামের কেউ এগিয়ে না আসায় বিপাকে পড়েন পরিবারের লোকজন। এ ঘটনার খবর পেয়ে দুপুর দুইটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন।
বাঁশ কাটা, কবর খোঁড়া ও জানাযার নামাজসহ সব ব্যবস্থা করেন তিনি। বাড়ি থেকে মৃত হোসেন মিয়ার মরদেহ নিজ কাঁদে করে কবরস্থানে নিয়ে যান চেয়ারম্যান জীবন। এরপর জানাজার নামাজ শেষে দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে নয়নপুর গ্রামের একটি কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয় (কৃষক হোসেন মিয়ার)।
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন বলেন, গ্রামের লোকজন ধরেই নিয়েছিলেন কৃষক হোসেন মিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সেজন্য ভয়ে মরদেহ দাফনে কেউ এগিয়ে আসছিলনা। পরবর্তীতে আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর মানুষজনকে বুঝিয়ে বললে তারা মরদেহ দাফনে এগিয়ে আসেন। এরপর গ্রামের লোকজনদের নিয়ে মরদেহ দাফন করেছি।