ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সবার আগে শিক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষাই হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় পাথেয়। এ শিক্ষাই সকলকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দেশ-জাতিকে উন্নত করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও মাদকের পথে যারাই পা বাড়াবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না। সোমবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি আগামীর নেতৃত্বের জন্য নিজেদের পস্তুত করতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। নিজ নিজ এলাকায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে। দুপুর থেকেই বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের পদচারণায় পূর্ণ হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এক পর্যায়ে পুনর্মিলনী স্থলে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ছাত্রজীবনে ছিলেন ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী। তাই এবারের পুনর্মিলনীতে গাইলেন তিনিও। ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রতিটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সোনালী ভূমিকা ছিল জাতির পিতার নিজ হাতে গড়া এ সংগঠনের। ৬৯ বছরের পথপরিক্রমায় সে অর্জন ধরে রাখার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি, বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। আমি শুধু এইটুকুই বলবো, যারা যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে আমার লাখো শহীদের রক্ষে রঞ্জিত পতাকা দিয়েছে, রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে তাদেরও বিচার বাংলার মাটিতে একদিন হতেই হবে।’
জঙ্গিবাদ এবং মাদকাসক্তি ছাত্র সমাজকে ধ্বংসের বড় হাতিয়ার হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তাই, যারা জঙ্গিবাদ উস্কে দেয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদের যে নতুন উৎপাত শুরু হয়েছে, এই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের ইস্যু কেবল বাংলাদেশ না বিশ্বব্যাপী একটা সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যার উৎসটা কি? আমরা ধর্মে বিশ্বাস করি। ইসলাম ধর্মে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের স্থান নেই। ইসলাম মানুষ খুন করার কথা বলেনি। আত্মঘাতী হলে দোজখে যেতে হয়, বেহেস্তে যাওয়া যায় না।’ মাদক, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের পথে যারা যাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো তাতে কোন সন্দেহ নাই।’ এছাড়া ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে জাতির পিতার আত্মজীবনী সম্পর্কে জানার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।