ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি থেকে অপহরনের ২ দিন পর সাদিয়া সুলতানা নামে নবম শ্রেনীর মাদরাসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের রামপুর থেকে সাদিয়াকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপহৃত সাদিয়ার মা ৩ জনকে আসামী কসবা থানায় অপহরন মামলা করলে জড়িত থাকার অভিযোগে সাদিয়ার চাচি ও এক মামাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুলাই সকালে উপজেলার কুটি থেকে অপহৃত হয় কুটি আজগর আলী দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী সাদিয়া সুলতানা। সাদিয়াকে তার চাচি রাবিয়া বেগম ফুসলিয়ে ঘর বের করে এনে তুলে দেয় উপজেলার চন্ডিদ্বার গ্রামের সুজন মিয়া ওরফে লুটনের কাছে। সুজন মিয়া মেয়েটিকে জোরপূর্বক চট্রগ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে সাদিয়াকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। গত ৪ জুলাই তাকে নিয়ে আসে উপজেলার রামপুর গ্রামের রবিউলের বাড়িতে । সেখান থেকে কৌশলে সাদিয়া মুঠোফোনে তার মা বাবাকে জানায় তাকে অপহরন করা হয়েছে বর্তমানে সে রামপুরে আছে। অপহরন ঘটনার সাথে তার চাচি রাবিয়া বেগম ও মামা রবিউল জড়িত বলে জানায় সাদিয়া। পরে সাদিয়ার মা সামছুন্নাহার বেগম গত ৪ জুলাই থানায় অপরহরন মামলা করলে পুলিশ ৩ নং আসামী রামপুর গ্রামের মো.রবিউলের বাড়ি থেকে অপহৃত সাদিয়াকে উদ্ধার করে। এ সময় সাদিয়ার চাচি ও মামাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন; কুটি থেকে অপহৃত মাদরাসা শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।