করোনা মহামারি মোকাবিলায় জাতিসংঘের নেতৃত্বের প্রশংসা করলো ঢাকা

প্রশান্তি ডেক্স॥  কোভিড-১৯ মোকাবিলার বৈশ্বিক প্রচেষ্টাগুলো এগিয়ে নিতে বিশেষ করে সংঘাতপূর্ণ এলাকার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘বিশ্বের সব সংঘাতপূর্ণ এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধ থামাতে এ যৌথ বিবৃতি নিশ্চয়ই আপনার হাতকে আরও শক্তিশালী করব।’

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ যে অবদান রেখে যাচ্ছে এ সময় তা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ আরও ৯টি দেশের (ইকুয়েডর, মিশর, জ্যামাইকা, জাপান, মালয়েশিয়া, ওমান, সেনেগাল, স্লোভেনিয়া ও সুইডেন) স্থায়ী প্রতিনিধি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের বৈশ্বিক যুদ্ধবিরতির আবেদনে সাড়া দিয়ে এক যৌথ বিবৃতি সোমবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহাসচিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।

উল্লেখ্য, ১০ দেশের সহ-উদ্যোগে প্রণীত এ যৌথ বিবৃতিটি গত ২২ জুন প্রকাশ করা হয়।

এটি জাতিসংঘের ১৭২টি সদস্য দেশ ও পর্যবেক্ষক সদস্যগুলো সমর্থন করে। মহাসচিবের আবেদনে এ পর্যন্ত এটিই ছিল সদস্য দেশগুলোর সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সমর্থন।

কোভিড-১৯ এর সময়ে যুদ্ধ ও বৈরিতার প্রভাবে বিপর্যস্থ মানবতার জন্য এ বিবৃতিটি বৈশ্বিক সংহতি ও মমত্ববোধের এক শক্তিশালী ও স্পষ্ট বার্তা বহন করে এনেছে।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, ‘সংঘাতপূর্ণ অনেক পরিস্থিতিতে শান্তি আনতে আপনার আবেদন সফলকাম হয়েছে, যদিও এখনও অনেকেই এতে এগিয়ে আসেনি এবং কেউ কেউ এর সঠিক প্রয়োগ করছে না।’

জাতিসংঘ মহাসচিব তার প্রতিক্রিয়ায় যৌথ বিবৃতিটিকে তার আবেদনের সপক্ষে সেরা ও গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ জন্য সব সহ-উদ্যোক্তাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

মহাসচিব তার যুদ্ধবিরতির আবেদনের প্রেক্ষিতে কিছু সফল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব তুলে ধরার পাশাপাশি আরও অনেক কিছু করা বাকি রয়ে গেছে মর্মে উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, এটির বাস্তবায়নই মূল বিষয়। তিনি বৈশ্বিক সংহতি অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন এবং এ সংহতি অন্যান্য ক্ষেত্রেও বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান।

বিবৃতিটির সহ-উদোক্তারা মহাসচিবের সাথে একমত পোষণ করেন।

কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিরতির পক্ষে রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ে এ আবেদনটি ছিল মহাসচিবের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা।

গত ২৩ মার্চ মহাসচিবের এ আবেদন প্রকাশের পরপরই যেসব দেশ এতে সমর্থন জানিয়েছিল বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.