প্রশান্তি ডেক্স ॥ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শিবচন্ডি এলাকায় নির্মাণের মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই ভেঙে গেছে একটি কালভার্ট। নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের কারণেই কালভার্টটি ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে অনিয়মের তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। একই সাথে তারা কালভার্টটি পুনরায় নির্মাণের দাবি জানান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় জেলার তেতুঁলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের নিজবাড়ি বাসা মোড় থেকে শুকানী সীমান্ত গ্রামীণ রাস্তার শিবচন্ডি এলাকায় আব্দুল খালেকের বাড়ির পাশে কালভার্টটি দশ দিন আগে নির্মাণ করা হয়। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এক লাখ টাকা ব্যয়ে এই কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। বিআরডিবি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর অধীনে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা দেবনগড় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও প্রকল্প স্কিম বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেক এই কালভার্ট নির্মাণের দায়িত্ব নেন। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কালভার্টটির নির্মাণ কাজ শুরু করলে স্থানীয়রা তাতে বাঁধা দেয়। কিন্তু স্থানীয়দের বাঁধা উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্টরা পরিমাণের চেয়ে কম রড ও সিমেন্ট এবং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে কালভার্টটির দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করে। নির্মাণের ১০ দিন পর গত ৯ জুলাই কালভার্টটির মধ্যখানে ভেঙে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়ক ধরে যাতায়াতকারী মানুষ।
শিবচন্ডি গ্রামের আজিজার রহমান জানান, বিভিন্ন প্রকার যানবাহনসহ এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র রাস্তা। চলাচলের জন্য আর কোনো বিকল্প রাস্তা না থাকায় কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে সবাইকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই কালভার্ট নির্মাণ কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
দেবনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম কালভার্টটি নির্মাণের ১০ দিনের মাথায় ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেক ইউনিয়ন পরিষদ ও গ্রামবাসীর অংশের টাকা দেননি। ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত করে দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
বিআরডিবি পঞ্চগড়ের উপ-পরিচালক শামসুর রহমান বলেন, কালভার্ট ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। তবে এমনকি হয়ে থাকলে আমি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তেতুঁলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।