প্রশান্তি ডেক্স ॥ বয়স্ক ভাতা কার্ড দেওয়ার কথা বলে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেলিনা পাটোয়ারী নামে এক যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলছেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, দলের একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
সেলিনা পাটোয়ারী লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী ও সদর উপজেলার শাকচর মদিন উল্ল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের কেরানী আলমগীর মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, সেলিনা পাটোয়ারী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার ও নিজ এলাকার সাধারণ মানুষকে দেখিয়ে, সরকারি বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সরকারী ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে ৩০ পরিবারের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। আস্থা অর্জনের জন্য ভাতা কার্ডের ভুয়া স্লিপও দেন তিনি।
পৌর শহরের সমসেরাবাদ এলাকার দিনমুজুর কুলি বাদশা মিয়া বলেন, যুব মহিলা লীগ নেত্রী সেলিনা বয়স্ক ভাতা কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নেয়। কিন্তু কোন ভার্তার কার্ড দেওয়া হয়নি।
পৌর ৭নং ওয়ার্ডের মিনা গাজী বাড়ীর প্রতিবন্ধি শামীম, টুমটর ইউনিয়নের অসহায় রৌশনা জাহানসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়ার কথা বলে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ ও ১০ হাজার টাকা করে নেয় সেলিনা। এজন্য তাদেরকে ভাতার স্লিপও দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ভাতার কার্ড কিংবা টাকা কিছুই দেয়া হয়নি তাদের।
এসব অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি অপপ্রচার দাবি করে সদর উপজেলা যুবমহিলা লীগের সভানেত্রী সেলিনা পাটোয়ারী জানান, তিনি এলাকার অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছেন।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে তার রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব অপপ্রচার করছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিক বলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।